Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC Leader Shot Dead: লুকিয়ে ছিল হোগলা বনে, জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে হাতেনাতে ধরা হল তৃণমূল কাউন্সিলরের ‘খুনি’কে

Panihati: পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শম্ভুনাথ পণ্ডিতকে আগরপাড়া রোডের জঙ্গল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারাই।

TMC Leader Shot Dead: লুকিয়ে ছিল হোগলা বনে, জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে হাতেনাতে ধরা হল তৃণমূল কাউন্সিলরের 'খুনি'কে
জ্বলছে হোগলা বন। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 14, 2022 | 5:04 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের দফায় দফায় জেরায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্যও। এখনও অবধি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম শম্ভুনাথ পণ্ডিত। তিনি সুপারি কিলার বলেই তদন্তকারীদের কাছে তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, কাউন্সিলরকে গুলি করার পর নিহতের বাড়ির পিছনের বস্তিতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন শম্ভুনাথ। তার কিছু দূরেই রয়েছে একটি হোগলা বন। এরপর সেখানেই গিয়ে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। সূত্রের দাবি, অভিযুক্তের পরিকল্পনা ছিল সময় সুযোগ বুঝে এলাকা ছাড়ার। কিন্তু পুলিশের তল্লাশিতে সে পরিকল্পনায় পুরোপুরি জল পড়ে যায়। ইতিমধ্যেই ধৃতকে জেরা করে আরও একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

কীভাবে ধরা পড়ল অভিযুক্ত

রবিবার কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনের পর এলাকায় তদন্তে যায় পুলিশ। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। রবিবার রাতেই শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। এরপরই তেঁতুলতলা এলাকা থেকে শম্ভুনাথকে ধরা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে যে পোশাকে অভিযুক্তকে দেখা যায়, পরে তিনি তা বদলে ফেলেন। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয় না। পুলিশ তেঁতুলতলা এলাকার হোগলা বনের ধারে তাঁর নীল জামা দেখে ফেলে। এরপরই সেই হোগলা বনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। প্রাণে বাঁচতে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন অভিযুক্ত। এরপরই স্থানীয়রা হাতেনাতে ধরে ফেলে ওই যুবককে।

পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শম্ভুনাথ পণ্ডিতকে আগরপাড়া রোডের জঙ্গল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। পরে তাঁকে খড়দহ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ জেরায় জানতে পেরেছে, অনুপম দত্তকে খুনের জন্য সুপারি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। শম্ভু নদিয়ার হরিণঘাটার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কে তাঁকে এই কাজে পাঠিয়েছে তার উত্তর খুঁজছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে নাকি ব্যক্তিগত আক্রোশের জের তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন: TMC Leader Shot Dead: মাথার পিছনে বন্দুক ঠেকিয়েই ট্রিগারে চাপ, তৃণমূল কাউন্সিলর ‘খুনে’ ধৃত মূল অভিযুক্ত