নন্দকুমার: বাড়িতে ঝামেলা। আর তার জেরেই স্ত্রী, সন্তান সহ ছয়জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার চেষ্টা জামাইয়ের। চাঞ্চল্যকর ঘটনা নন্দকুমার থানার অন্তর্গত নামালক্ষ্যা এলাকায় কুমোরআড়া গ্রামে। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থাতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন শেখ আপন নামে ওই ব্যক্তি। ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে কোপানোর পাশাপাশি ছাড় পায়নি আপনের শাশুড়িও। একে একে বাড়িতে থাতা ৬ জনকে কোপাতে থাকে। বাদ যায়নি সন্তানেরাও। তাঁদের চিৎকারেই ছুটে আসে এলাকার লোকজন। এলাকার বাসিন্দারাই আহতদের উদ্ধার করে তাম্রলিপ্ত গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে।
স্থানীয়দের হাতে ধরাও পড়ে যান অভিযুক্ত ব্যক্তি। বেধড়ক মারও খান। খবর যায় পুলিশে। শেষে নন্দকুমার থানার পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে যায়। আহতদের পরিবার সূত্রে খবর, ২০০৭ সালে আপনের সঙ্গে আসমা বিবির বিয়ে হয়। তাঁদের তিন ছেলে ও এক মেয়েও রয়েছে। অভিযোগ, শুরুতে সব ঠিকঠাক থাকলেও কিছু বছর আগে থেকেই বউয়ের উপর অত্যাচার শুরু করে আপন। প্রায়শই বেদম পেটাতে থাকে।
আসমার বাপের বাড়ির লোকজন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও হনি কোনও লাভ। উল্টে আরও বেড়ে যায় আপনের অত্যাচার। মদ খেয়ে এসে রোজই বাড়িতে অশান্তি করতে থাকে। প্রতিবেশীরা বাধা দিলেও কোনও কথাই সে শুনতো না বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়েই কয়েক মাস আগে আসমা বিবি আশ্রয় নেয় তাঁর বাপের বাড়িতে। অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে মদ খেয়ে সেখানে চলে যায় আপন। তারপরই এই কাণ্ড।