পূর্ব মেদিনীপুর: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর মৃত্যুর তদন্তে অতি তত্পর সিআইডি। এবার শুভব্রত ১১ জন সহকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিআইডি প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার সিআইডি প্রতিনিধি দল পৌঁছয় জেলা পুলিশ লাইনে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩.৫২ মিনিটে তমলুকের মানিকতলা জেলা পুলিশ লাইনেপৌঁছন তদন্তকারীরা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ৪ তদন্তকারী। পুলিশ লাইনে থাকা মোট ১১ জন শুভব্রতের তৎকালীন সহকর্মী। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডি দলের প্রতিনিধিরা। প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে চলে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। রাত ১১টা তমলুক মানিকতলা ডিস্ট্রিক পুলিশ লাইন্স থেকে বেরিয়ে যান তদন্তকারীরা। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই এ ব্যাপারে কিছু বলতে চান তিনি তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি শান্তিকুঞ্জে যান তদন্তকারীরা। বাড়ির উল্টোদিকে নিরাপত্তারক্ষীদের থাকার জায়গায় প্রথমে যান তাঁরা। সেখানে পৌঁছে মৃত্যুর দিন হাজির অন্যান্য নিরাপত্তরক্ষীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন তদন্তকারীরা। পরে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতেও যান তাঁরা। কথা বলেন দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও।
শুভব্রত চক্রবর্তী দীর্ঘদিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী ছিলেন। ২০১৮ সালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে শুভব্রতর তিন বছর পর তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী কাঁথি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এই মৃত্যু রহস্যের কারণ উদঘাটন করার দাবিতে এফআইআর করেন।
অভিযোগ পত্রে তিনি লিখেছেন, ২০১৮ সালে যখন স্কুলে কর্মরত ছিলেন, তখন তিনি জানতে পারেন, তাঁর স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে কাঁথি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স পেতে দেরি হওয়ায় কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় শুভব্রতর। এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর স্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই কি অ্যাম্বুলেন্স সেদিন দেরিতে এসেছিল?
সুপর্ণার বক্তব্য, তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই একাধিক বিষয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল মনে। যেহেতু শুভেন্দু অধিকারী প্রভাবশালী মানুষ, তাই প্রথমেই তিনি মুখ খুলতে পারেননি। কিন্তু এখন যেহেতু পরিস্থিতি বদলেছে, তাই তিনি সাহস করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আরও পড়ুন: ‘ঠগ’ মহিলা ব্যাঙ্ক আধিকারিকের পাল্লায় লন্ডন ফেরত গবেষক, খোয়ালেন ১ কোটি টাকা