Pashkura: পুরপ্রশাসক যেতেই হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন দুর্গত গণেশ
Pashkura: সোমবার পাঁশকুড়ার গণেশচন্দ্র ভূঁইয়্যার জঁদড়ার বাড়িতে দেখা গেল পাঁশকুড়া পুরসভার প্রশাসক নন্দ মিশ্রকে। গণেশের দোতলা বাড়িও ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে জলের তোড়। দিন তিনেক আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর পাশে দাঁড়ান। আর্থিক সাহায্য করেন। অবশেষে পুরসভাও এগিয়ে এল।
পূর্ব মেদিনীপুর: কংসাবতীর জল ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে সবকিছুই। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া পুরএলাকা-সহ ব্লক এলাকারও এক ছবি। শুধু পাঁশকুড়া নয়, কোলাঘাট ও শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকেরও অনেক এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে। তার জেরে এখনও পর্যন্ত জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয় বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর।
এরইমধ্যে সোমবার পাঁশকুড়ার গণেশচন্দ্র ভূঁইয়্যার জঁদড়ার বাড়িতে দেখা গেল পাঁশকুড়া পুরসভার প্রশাসক নন্দ মিশ্রকে। গণেশের দোতলা বাড়িও ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে জলের তোড়। দিন তিনেক আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর পাশে দাঁড়ান। আর্থিক সাহায্য করেন। অবশেষে পুরসভাও এগিয়ে এল।
নন্দ মিশ্র বলেন, “গত তিনদিন ধরে ত্রাণ বিলি বণ্টনেই পুরসভাতে ছিলাম। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখছি পরিস্থিতি। নদীবাঁধ বাজে ভেঙে গিয়েছে। গণেশ ভুঁইয়্যার বাড়ি যেভাবে ভেঙেছে সকলে দেখেছি। পুরসভা ও সরকার যতটা সম্ভব সহযোগিতা করবে। আমরা এই পরিবারের পাশে দাঁড়াব। শুধু এই পরিবারই নয়, ক্ষতির মুখে অনেকেই। বহু মানুষ নদীবাঁধে আছেন। ত্রাণ দিয়ে গেলাম। দলীয় কর্মীদের বলে দিয়েছি, ত্রাণ নিয়ে কোনও দলবাজি চলবে না। যারা বানভাসি, বন্যাকবলিত, সকলের কাছেই সরকারের ত্রাণ পৌঁছে দিতে হবে।”
গণেশও বলেন, “চেয়ারম্যান এসেছিলেন। উনি কথা দিয়েছেন সামর্থ্যমতো উনি সহযোগিতা করবেন। প্রথম দু’দিন একটু সাহায্য পেতে অসুবিধা হয়েছিল। চারপাশ তো জলে ডোবা। তবে পুরসভা চাল, ডাল, আলু দিয়েছে। অন্যান্য জিনিসও দিয়েছে।”