পুরুলিয়ায় নরেন্দ্র মোদী
Image Credit source: TV9 Bangla
পুরুলিয়া: পুরুলিয়ায় বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় মাহাতোর সমর্থনে প্রচারে বাংলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুর্নীতি, টাকা উদ্ধার, শেখ শাহজাহান ইস্যুতে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি কী কী বললেন, দেখুন…
KEY HIGHLIGHTS
- আপনার কাছ থেকে কেবল ভোট চাইতে আসিনি। আমি আপনাদের আর্শীবাদ নিতে এসেছি। বিকশিত ভারতের জন্য আর্শীবাদ চাই। ৪ জুন আর বেশি দিন বাকি নেই। মোদী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের পোল খুলে ফেলেছে।
- ওরা ভোট ব্যাঙ্কের খুশি করতে CAA বিরোধিতা করে। তৃণমূল দলিত, আদিবাসীদের অধিকার কেড়ে নিতে চায়। কর্নাটকে OBC কোটা মুসলমানদের দিয়ে দিয়েছে। TMC কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে দাঁড়িয়ে।
- তৃণমূল ও কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক আপনারা নন। তাই ওদের আপনাদের জন্য একটুও কোনও দরদ নেই। তৃণমূল মিথ্যা বলছে, যে মা মাটি মানুষের রক্ষা করবে। আজ তৃণমূল মা মাটি মানুষেরও ভক্ষক হয়েছে। বাংলার মানুষের ভরসা তৃণমূলের ওপর থেকে চলে গিয়েছে।
- সন্দেশখালিতে যে পাপ হয়েছে, তাতে বাংলার মহিলাদের ভাবাতে বাধ্য করছে। SC, ST পরিবারের লোকদের তো তৃণমূল মানুষই ভাবে না। শাহজাহানদের বাঁচাতে গিয়ে সন্দেশখালির বোনদেরই দোষী সাব্যস্ত করছে।
- সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের জন্য যে ভাষা ওরা ব্যবহার করছে, তার জবাব বাংলার মহিলারা ভোট দিয়ে উত্তর দেবে।
- তোলাবাজি করা, চুরি করা, তৃণমূলের আচার-বিচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষাতেও চুরি করেছে। শিক্ষকদের নিয়োগে হাজারও যুবকের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে। ওদের দেনায় ডুবে দিয়েছে। যুব সমাজ লোন নিয়ে তৃণমূলের লোকেদের টাকা দিয়েছে। বাংলার গ্রামের স্কুলগুলোতে শিক্ষক নেই। তৃণমূল হোক, কংগ্রেস হোক, একই থালার এপাশ-ওপাশ।
- কংগ্রেসের মন্ত্রী, সাংসদের পাশ থেকে নোটের পাহাড় মিলছে। আমি আমার জীবনে চোখের সামনে নোটের পাহাড় দেখেনি, যা এই চোরদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হচ্ছে। এখানে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের কাছ থেকেও নোটের পাহাড় উদ্ধার হয়। আর গালি মোদীকে দেয়। আমি কি দেশবাসীর কাছ থেকে কিছু লুকোই? ৪ জুনের পর ভষ্ট্রাচারীদের জীবনে জেলের বাইরে বেরোতে দেব না।
- লুঠের পয়সা মোদী যে উদ্ধার করছে, তা গরিবদের। আমি চেষ্টা করব, সেই পয়সা যেন তাঁরা ফেরত পান। মোদীর সবাইকে প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে। সবাই ঘর পেয়েছেন, বাথরুম-গ্যাস সবাই পেয়েছেন। বিনা পয়সায় রেশন দিয়েছে, কোথাও কোনও ভেদাভেদ করেনি।
- পুরুলিয়ায় জলের সঙ্কটের কথা আমি জানি। মোদী চেষ্টা করছে, দেশের প্রত্যেক বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়া। গত পাঁচ বছরে ১২ কোটির বেশি ঘরে জল পৌঁছেছে। পুরুলিয়ায় তৃণমূল সরকার এই অভিযানকে এগোতে দিচ্ছে না। উত্তরপ্রদেশে, যেখানে বিজেপি সরকার রয়েছে, সেখানে প্রত্যেক দিন ৩০ হাজার ঘরে জল পৌঁছাচ্ছে।
- স্বামী বিবেকানন্দ বিদেশের মাটিতে গিয়েছিলেন, যখন ভারতের কথা বলতেন, তখন লাখো মানুষ ওঁর ভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এক জন এমন ছিলেন, যিনি ভারতের প্রতি বিদ্বেষ ছিল, তিনি স্বামী বিবেকানন্দকে ধমকিয়েছিলেন, খুব অপমান করেছিলেন। এখন আবারও সেরকম হচ্ছে। আজ সেরকমই বাংলার মাটিতে হচ্ছে। নির্বাচনে বাংলার মানুষকে ভয় দেখানো, ধমকানো, হিংসা করানোর TMC সরকার এবার সব সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। দেশে ইসকন, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ নিয়ে পুরো বিশ্বে জনপ্রিয়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের প্রকাশ্যেই ধমকাচ্ছেন। মঞ্চ থেকেই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। বিশ্ব জুড়ে ইসকন, মিশনের লোক থাকে। তাঁদের লক্ষ্য, মানুষের সেবা করা। নিজের ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করতে এখন তাঁদেরকেই ধমকাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। লাখো মানুষের ভাবনার কথা ভাবছেন না।