TMC leader murder: পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে চলে ৬ রাউন্ড গুলি, পার্টি অফিসে এখনও পড়ে চাপ চাপ রক্ত
TMC leader murder: এদিকে, যে পার্টি অফিসের সামনে ঘটনাটি ঘটেছে, তার সিসিটিভি খারাপ। আশপাশের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

পুরুলিয়া: ভোটের ঠিক ১৬ দিন আগেই আরও একটা খুন! টাউন তৃণমূল সভাপতি তথা এলাকার দাপুটে নেতা বলে পরিচিত ধনঞ্জয় চৌবের মৃত্যুতে কার্যত আগুন জ্বলছে পুরুলিয়ায়। শুক্রবার সকাল থেকে আদ্রা স্টেশনের রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের দাবি, বিরোধীরাই ষড়যন্ত্র করে খুন করেছে ধনঞ্জয়কে। তবে ভর সন্ধ্যায় পার্টি অফিসের সামনে কী ভাবে এমন একটা ঘটনা ঘটল, তা রীতিমতো অবাক করেছে এলাকার বাসিন্দাদের। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় আরসাদ হোসেন এবং মহম্মদ জামাল নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের শুক্রবার রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। আরসাদ বেকো গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রার্থী বলে সূত্রের খবর।
ভোটের আগে দলীয় কাজেই সারাদিন ব্যস্ত ছিলেন তিনি ধনঞ্জয় চৌবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ পার্টি অফিসে বসেছিলেন তিনি। আচমকাই একটি বাইক হাজির হয় সেখানে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাইক থেকে নেমে আসে দুজন। এরপর পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর ৬ রাউন্ড গুলি চালায় তারা। ধনঞ্জয়ের দেহে লাগে পাঁচটি গুলি। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। আর একটি গুলি লাগে তাঁর দেহরক্ষীর পেটে।
পুলিশ তদন্তে নেমে একটি বাইক উদ্ধার করেছে। পুলিশের অনুমান, সেটি চোরাই বাইক। ফলে নম্বর প্লেট বদলে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, যে পার্টি অফিসের সামনে ঘটনাটি ঘটেছে, তার সিসিটিভি খারাপ। ফলে আশপাশের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে, আতঙ্ক কাটছে না শহরে। ভয়ে দোকান খোলেননি ব্যবসায়ীরা। এলাকায় একটা চায়ের দোকানও খোলা হয়নি শুক্রবার। পরিবহনও বন্ধ রাখা হয়েছে। সাধারণ মানুষ রীতিমতো আতঙ্কিত। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের দাবি, রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন ধনঞ্জয়, তাই তাঁকে ভয় পেতেন বিরোধীরা।
