
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: SIR কে সামনে রেখে ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে আরও একবার জনসংযোগে ‘টিম অভিষেক’। SIR নিয়ে সাধারণ মানুষের মন থেকে ভয় দূর করতে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবার পাড়ায় পাড়ায় চায়ের আসর শুরু করল ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার তৃণমূল নেতৃত্ব। নতুন এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘চায়ের চুমুকে উন্নয়নের গল্প’।
এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য ? তৃণমূল সূত্রের খবর, SIR নিয়ে আতঙ্ক আবহের মধ্যে নিরাপত্তার বার্তা নিয়ে ভোটারদের পাশে থেকে জনসংযোগ বাড়ানো। আর এই জনসংযোগের মাধ্যমে আগামী ডিসেম্বর মাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেবাশ্রয় চালুর বিষয়টিও মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প মানুষের কাছে তুলে ধরা।
এছাড়াও অভিযোগ, সমস্যা ও পরামর্শ সরাসরি সাধারণ মানুষের থেকে শোনা। যাতে সাধারণ মানুষের মনে নিজেদের সম্পর্কে বিশ্বাসযোগ্যতা গোড়ে তোলার পাশাপাশি স্বচ্ছতা প্রমাণ করা। রবিবার সন্ধে নাগাদ ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দেওয়ানতলা এলাকায় নতুন এই কর্মসূচি শুরু হল।
১. SIR চলাকালীন আগামী তিন মাস ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার দুটি ব্লক এবং একটি পুরসভার প্রত্যেকটা বুথের মন্দির প্রাঙ্গণ, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, ক্লাব প্রাঙ্গন, বাজারে কোন পরিচিত চায়ের দোকান, পার্ক এবং অটো, টোটো ও বাসস্ট্যান্ডে এই কর্মসূচি চলবে।
২. এই কর্মসূচিতে নিমন্ত্রণ জানানো হবে, প্রত্যেক বুথের প্রভাবশালী ব্যক্তি, পরিচিত সমাজকর্মী, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা, প্রবীণ ব্যক্তি এবং বুথের অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের।
৩. যেখানে কর্মসূচি চলবে, সেখানে একটি বক্স রাখা হবে। এলাকার বাসিন্দারা তারা তাদের সমস্যার কথা লিখে সেই বক্সে ফেলতে পারবেন।
৪. এমনকি এই কর্মসূচিতে SIR নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হবে।
৫. একটি ফর্মও সাধারণ মানুষকে বিতরণ করা হবে। SIR-এর পাশাপাশি যে কোন সমস্যার কথা এই ফর্মে লিখে জানাতে পারবেন সাধারণ ভোটাররা।
৬. খোলা হয়েছে একটি হেল্পলাইন নম্বর।
সোমবার কর্মসূচির সূচনা করেন ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার পর্যবেক্ষক শামিম আহমেদ। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক পান্নালাল হালদার সহ দলীয় নেতা কর্মীরা। বিতরণ করা হয় চা বিস্কুট। ঘরোয়া আলোচনা চলে তৃণমূল নেতৃত্বদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের। এভাবে দলীয় নেতৃত্বদের বাড়ির কাছে পেয়ে খুশি এলাকার বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত, SIR আবহে তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়কদের বিশেষ দায়িত্ব। প্রত্যেক বিধানসভায় ১৫ জনের টিম গড়ার জন্য নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হার্ড কপি ও ডিজিট্যাল লিস্ট মিলিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। কোথাও কোনও অসংলগ্ন, কিংবা প্রক্রিয়ায় ক্রটি দেখলে আইনি পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছেন।