ভাঙড়: লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর ভাঙড়ে প্রথম সভা আইএসএফের। তামঝাম ছিল যথেষ্ট। বিরাট ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাঁবু খাটানো হয়েছিল। চেয়ার রাখা হয়েছিল সাজিয়ে। উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। কিন্তু এ কী অবস্থা! বসার আসনই পুরো ভর্তি হল না নওশাদদের সভায়। ফাঁকা পরে থাকতে দেখা গেল অনেক চেয়ার। মঙ্গলবার দুপুরে ভাঙড়ের কাশীপুর এলাকায় আইএসএফের সভায় ধরা পড়ল এমনই দৃশ্য।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে এবার প্রার্থী দিয়েছে আইএসএফ। নুর আলম খানকে প্রার্থী করেছে নওশাদদের দল। এই ভাঙড়ও পড়ছে যাদবপুর লোকসভা আসনের মধ্যেই। মঙ্গলবার ভাঙড়ের সভায় নওশাদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের আইএসএফ প্রার্থীও। ছিলেন জেলার অন্যান্য নেতারাও। তবু কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকাই থেকে গেল সভাস্থল। আর এই নিয়ে ইতিমধ্য়েই খোঁচা দিতে শুরু করেছে তৃণমূল শিবির। ভাঙড়ে এদিন আইএসএফের সভাকে ‘সুপার ফ্লপ’ বলে বক্রোক্তি শানিয়েছেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা।
শওকতের প্রশ্ন, ‘কেন মানুষ আইএসএফের সভায় আসবে? গত তিন বছরে আইএসএফ বাংলার জন্য কোন কাজটা করেছে? শুধুমাত্র বিজেপিকে কীভাবে পিছনের দরজা দিয়ে বাংলায় ঢোকাতে হবে, তার জন্য পরিকল্পনাই নওশাদ করেছেন। ভাঙড়ের মানুষকে কি এতই বোকা পেয়েছেন নওশাদ?’ যদিও নওশাদ সিদ্দিকীর ব্যাখ্যা, ‘এটি তো সাংগঠনিক সভা। এটা নির্বাচনী সভা কে বলেছে? বিভিন্ন বুথের নেতারা এসেছেন। এটা তো শুধু গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বদের নিয়ে সভা হয়েছে, সাধারণ মানুষকে নিয়ে হয়নি। যখন সভা হবে, তখন দেখবেন।’