
কুলতলি: ভোটের আগেই বড়সড় ধাক্কা বাম শিবিরে। ভাঙন ধরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এক ঝটকায় প্রায় ১ হাজার কর্মী বাম শিবির থেকে চলে এলেন ঘাসফুল শিবিরে। তা নিয়েই জোর শোরগোল কুলতলিতে। শনিবারই পুজোর আবহে হয়ে গেল এই যোগদান পর্ব। এদিকে একসময় এই কুলতলিতে শক্ত জমি ছিল সিপিএম, এসইউসিআইয়ের। সেখানেই ভোটের আগে চওড়া হল তৃণমূলের থাবা।
যে সমস্ত নেতারা দল বদলেছেন তাঁদের মধ্যে বিশেষভাবে উঠে আসছে এসইউসিআই-র নেতা ও প্রাক্তন এসইউসিআই বিধায়ক জয়কৃষ্ণ হালদারের ভাই সুধীর হালদার ও সিপিএম নেতা ও কুলতলি পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি রমনীরঞ্জন দাসের নাম। দীর্ঘদিন থেকেই এই দুই নেতার এলাকায় ভালই প্রভাব ছিল। তাঁরাই এবার ভোটের মুখে তৃণমূলে চলে যাওয়ায় বিরোধী শিবির যথেষ্ট ধাক্কা খাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কুলতলির তৃণমূল বিধায়ক গণেশ চন্দ্র মণ্ডল বলছেন, গোপালগঞ্জ অঞ্চল থেকেই মূলত বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন। বিভিন্ন স্তরের নেতা, কর্মী এবং সমর্থক মিলিয়ে প্রায় এক হাজার জন তৃণমূলে যোগদান করেছে বলে দাবি তাঁর। তাতে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত তিনি। শনিবার কুলতলিতে আয়োজন করা হয়েছিল যোগদান সভার। সেখানেই শাসক শিবিরের নেতাদের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন বিরোধী শিবিরের ওই সব নেতা-কর্মীরা। এদিকে ভোট এগিয়ে এলেও এখনও জোট নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেনি বামেরা। কংগ্রেস, আইএসএফের সঙ্গে জোট নিয়ে চাপানউতোর চলছেই। আসন ভাগাভাগি নিয়ে বামফ্রন্টের অন্দরেও চাপানউতোর কম নেই। এই অসস্থায় দলের অন্দরেই এই নতুন রক্তক্ষরণ ভোটের আগে নেতাদের অস্বস্তি আরও বেশ খানিকটা বাড়িয়ে দেবে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।