হাসপাতালের গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, তুলকালাম নরেন্দ্রপুরে
অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালের সামনে শ্বাসকষ্ট নিয়ে রোগী (Patient Died) পড়ে থাকলেও কেউ এসে একবারও দেখেনি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: চিকিৎসকদের উদাসীনতায় অ্যাম্বুলেন্সে এক রোগীর (Patient Died) মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, ভাঙা হয় অ্যাম্বুলেন্সের কাঁচ। মারধর করা হয় এক চিকিৎসককেও। সোমবার রাতে নরেন্দ্রপুর থানার গড়িয়া রেমেডি হাসপাতালে এই ঘটনা ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। মৃতের নাম আরতি ঘড়াই (৫০)। বেহালা চৌমাথা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। পরে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অক্সিজেনের ঘাটতি থাকায় বিকেলের পর থেকেই একটা সমস্যা তৈরি হয় এই রেমেডি হাসপাতালে। পরে সরকারি হস্তক্ষেপে বাইরে থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার এনে কোনও ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। এরইমধ্যে আরতিদেবীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁকে ভর্তিও নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর পরিবারকে পরামর্শ দেয়, পাশেই তাদের আরও একটি নার্সিংহোম রয়েছে, সেখানে সবরকম পরিষেবাও রয়েছে, রোগী নিয়ে সেখানেই ভর্তি করুক। এদিকে ওই নার্সিংহোমে রোগী নিয়ে গেলে তারা পাল্টা জানায় এরকম কোনও নির্দেশ তাদের কাছে রেমেডি থেকে আসেনি।
রোগীর পরিবারের অভিযোগ, এ সবের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরেই মৃত্যু হয় আরতিদেবীর। তাদের দাবি, একটু অক্সিজেন পেলে বেঁচে যেতেন। অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালের সামনে শ্বাসকষ্ট নিয়ে রোগী পড়ে থাকলেও কেউ এসে একবারও দেখেনি। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কেউ কথা শোনেনি।
এদিকে রোগীর মৃত্যুর পরই রাগে ফেটে পড়েন তাঁর বাড়ির লোকজন। রেমেডির সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অভিযোগ, সামনেই হাসপাতালের কয়েকজন কর্মী ছিলেন, তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। চলে ভাঙচুর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নরেন্দ্রপুর থানায় খবর দেয়। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।