Babita Sarkar: ‘আগামিকাল থেকে স্কুলে ফেরার কথা ভাবছি’, কীভাবে হঠাৎ ‘ঘুরে দাঁড়ালেন’ চাকরি-হারানো ববিতা?
SSC Untented List: যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা ঘিরে দিনকতক ধরে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যে। তালিকা প্রকাশের দাবিতে পথে নেমেছেন চাকরিহারারা। চলেছে আন্দোলন। রাত হোক বা দিন, কোনও কিছুই মানেনি তারা। তবে গোটা বিক্ষোভ কর্মসূচিই সার! প্রকাশ পায়নি তালিকা।

শিলিগুড়ি: আদালতের নির্দেশে বছর কতক আগেই তিনি চাকরি হারিয়েছেন। এবার সেই ববিতাই কি ফিরতে চলেছেন স্কুলে? শিলিগুড়ির আকাশে-বাতাসে এখন ছড়িয়ে পড়েছে এই বিতর্কই। কিন্তু বিতর্ক ছড়িয়েছে কারা? খোদ শিক্ষা দফতর।
যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা ঘিরে দিনকতক ধরে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যে। তালিকা প্রকাশের দাবিতে পথে নেমেছেন চাকরিহারারা। চলেছে আন্দোলন। রাত হোক বা দিন, কোনও কিছুই মানেনি তারা। তবে গোটা বিক্ষোভ কর্মসূচিই সার! প্রকাশ পায়নি তালিকা। শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, এই তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। কার্যত আদালত অবমাননার সময়। এই সুরে মাথা নেড়েছেন অনেকেই। তবে অনড় থেকেছেন চাকরিহারারা।
আবার এরই মাঝে বুধবার স্কুল পরিদর্শকদের চিঠি পাঠিয়ে সুপ্রিম-নির্দেশ অনুযায়ী যোগ্যদের কাজে ফেরানোর বার্তা দিয়েছে শিক্ষা দফতর। সেই ভিত্তিতে একটি ‘যোগ্যদের’ তালিকাও পাঠানো হয়েছে DI-দের দফতরে। যদিও সেই তালিকা তারা সকলের সামনে প্রকাশ একেবারেই নারাজ। উল্লেখ্য, ববিতা ঘিরে যে বিতর্ক তাও কিন্তু এই তালিকাতেই রয়েছে। জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়েও পৌঁছেছে একটি ‘যোগ্যদের’ তালিকা। কাদের আবার স্কুলে ফিরিয়ে আনতে হবে, সেই নামগুলি লেখা রয়েছে এই তালিকায়। যেখানে ঠাঁই পেয়েছেন চাকরি হারানো ববিতা সরকারও। আর তাতেই চড়েছে বিতর্ক।
গত কয়েক বছর আগেই কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছিল প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। সেই চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা। কিন্তু সুখ বেশিদিন থাকেনি। তারপর আবার হাতবদল। চাকরি নিলেন অনামিকা। মূলত, ববিতা চাকরি পেতেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অনামিকা রায়। তাঁর বিরুদ্ধে, শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্রে কারসাজি করার অভিযোগ তুলে সেই চাকরি ছিনিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে চাকরিহারা ববিতা। কিন্তু তাও স্কুল পরিদর্শকদের দফতরে পৌঁছনো ‘যোগ্যের’ তালিকায় ফুটে উঠল তাঁর নাম।
এই মর্মে বৃহস্পতিবার ববিতা জানান, ‘আমাদের গোটা মেরিট লিস্টটাই ভুলে ভরা। হতে পারে, আমি যোগ্য প্রার্থী ছিলাম। কিন্তু আমাকে অযোগ্য করেছে ওরা। কিন্তু সুপ্রিম নির্দেশে এটা যেহেতু যোগ্যদের তালিকা, তাই আমি আগামিকাল থেকে স্কুলে যোগদানের কথা ভাবছি।’ ববিতার সংযোজন, ‘আমাদের দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশে প্রতিটি স্কুলে ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আমি কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন, সেই তালিকায় আমার নাম রয়েছে।’ এরপরেই এসএসসির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট SSC-কে আরও একটা পরীক্ষা স্বচ্ছ ভাবে নিতে বলেছে। আমরা বিড়ালকে দিয়ে মাছ পাহারা দেওয়াচ্ছি না? কতবার ভুল হয়? প্রতি পদক্ষেপে এরা ভুল করে। আমি একবার চাকরি পাচ্ছি। আবার চলে যাচ্ছে। আবার নাম চলে আসছে।’





