H-1B Visa-এ ১০০,০০০ ডলার ফি! ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করল ২০টি রাজ্য
H-1B Visa: বর্তমানে এইচ-১বি পিটিশনের জন্য কর্মীদের ৯৬০ ডলার থেকে ৭৫৯৫ ডলার দিতে হয়। প্রতি বছর ৬৫ হাজার কর্মী এইচ-১বি ভিসায় আমেরিকায় যান। অতিরিক্ত ২০ হাজার ভিসা সংরক্ষিত থাকে উচ্চশিক্ষিত, ডিগ্রিধারী আবেদনকারীদের জন্য।

ওয়াশিংটন: বিপদে ট্রাম্প। এইচ-১বি ভিসার উপরে ১ লক্ষ ডলারের ফি চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সোজা ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে দায়ের হল মামলা। ২০টি মার্কিন স্টেট প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছে। তাদের বক্তব্য, সরকারের এই নীতি বেআইনি এবং এর জেরে অত্যাবশ্যকীয় সরকারি পরিষেবা বা পাবলিক সার্ভিস ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সম্প্রতিই এইচ-১বি ভিসা নিয়মে বড় পরিবর্তন করে ট্রাম্প সরকার। ভিন দেশের দক্ষ কর্মীরা আমেরিকায় এই ভিসার অধীনে কাজ করেন। আমেরিকার হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুলে বহু ভারতীয় সহ অন্যান্য দেশের কর্মীরা কাজ করেন। সেখানেই হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট নতুন নীতি চালু করে, যেখানে এইচ-১বি ভিসার জন্য ১ লক্ষ ডলার ফি চাপানো হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বরের পর থেকে এইচ-১বি ভিসায় যারা আবেদন করেছেন, তাদের উপরে এই ফি চাপানো হয়েছে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটিই ঠিক করবে কাদের এই ফি দিতে হবে আর কারা নিয়ম থেকে ছাড় পাবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে এইচ-১বি পিটিশনের জন্য কর্মীদের ৯৬০ ডলার থেকে ৭৫৯৫ ডলার দিতে হয়। প্রতি বছর ৬৫ হাজার কর্মী এইচ-১বি ভিসায় আমেরিকায় যান। অতিরিক্ত ২০ হাজার ভিসা সংরক্ষিত থাকে উচ্চশিক্ষিত, ডিগ্রিধারী আবেদনকারীদের জন্য।
২০টি স্টেট, যারা মামলা করেছে, তাদের দাবি, ট্রাম্পের এই নতুন নীতি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ প্রসিডিওর অ্য়াক্ট এবং মার্কিন সংবিধানকেই লঙ্ঘন করছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বনটা, যিনি অন্যতম মামলাকারী, তিনি জানিয়েছেন, প্রশাসনের এই ফি চাপানোর অধিকার নেই। তিনি বলেন, “বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে ক্যালিফোর্নিয়া জানে যে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দক্ষ কর্মীরা এসে এখানে কাজ করে। আমাদের রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেআইনি ১ লক্ষ ডলার এইচ-১বি ভিসা ফি অযথা হয়রানি তৈরি করেছে এবং এটি বেআইনি। ক্যালিফোর্নিয়ার সরকারি কর্মী ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের উপরে আর্থিক চাপ তৈরি করেছে, গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে কর্মী সঙ্কট সৃষ্টি করেছে।”
