চট্টগ্রাম: কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলি থেকে পঞ্চম দফায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দিল ২১টি বাস। মঙ্গলবার উখিয়া কলেজের মাঠ থেকে মোট ১ হাজার ৭৩ জনকে নিয়ে রওনা দিল বাসগুলি। তার আগে অবশ্য কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবির থেকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠে আনা হয় রোহিঙ্গাদের।
এর আগে একাধিকবার রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে। প্রথমে অভিযোগ উঠেছিল, রোহিঙ্গাদের অমতে তাঁদের ভাসানচরে পাঠাচ্ছে হাসিনা সরকার। তবে হাসিনা সরকার এই বিষয়ে সাফ জানিয়েছিল, কাউকেই অমতে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। বরং রোহিঙ্গাদের সঠিক বাসস্থানের জন্যই তাঁদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পরে সে দেশের একাধিক সংবাদ মাধ্যমেও প্রকাশিত হয়, রোহিঙ্গারা নিজেদের মুখে স্বীকার করেছেন যে তাঁরা স্বইচ্ছায় ভাসানচরে যাচ্ছেন। গত বছর ৪ ও ২৯ ডিসেম্বর ৩ হাজার ৪৪৬ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে গিয়েছিলেন। তারপর ২৯ জানুয়ারি ভাসানচরে যান আরও ১ হাজার ৭৭৮ জন। ৩০ জানুয়ারি পের ভাসানচরে যান ১ হাজার ৪৬৩ জন। চতুর্থ দফায়ও ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠিয়েছিল হাসিনা প্রশাসন।
গত বছর মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যেতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে প্রথম ভাসানচরে নিয়ে গিয়েছিল হাসিনা প্রশাসন। তারপর ৫ দফায় রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে আশ্রয় দিয়েছে হাসিনা সরকার। দু’দশক আগেও সমুদ্রের নীচে তলিয়ে ছিল ভাসানচর। আসতে আসতে পলি জমে গড়ে উঠেছে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপ। ভারতীয় মুদ্রায় ৮০০ কোটিরও অধিক টাকা খরচ করে সেখানে হাসপাতাল, মসজিদ গড়ে তুলেছে বাংলাদেশ সরকার। সেখানেই আশ্রয় খুঁজে নিচ্ছেন রোহিঙ্গারা। হাসিনার পরিকল্পনা রয়েছে ১ লক্ষ রোহিঙ্গাকে সেখানে আশ্রয় দেওয়ার। সে জন্যই দফায় দফায় ভাসানচরের পথে ভেসে যাচ্ছেন কক্সবাজারের শরনার্থীরা।
আরও পড়ুন: ‘জিনপিংয়ের চক্রান্ত’, চিনে বসেই মুম্বইকে অন্ধকার করে দিচ্ছে হ্যাকাররা!