ঢাকা: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি। সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে’র অভিযোগে, বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর), এই পরোয়ানা জারি করল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেই দেশের সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য দুটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। এরপর, ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান, বিচারপতি মহম্মদ গোলাম মোর্তাজা মজুমদার এই আদেশ দিয়েছেন।
হাসিনা ছাড়াও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে আওয়ামি লিগের শীর্ষস্থানীয় ৪৫ জন নেতার বিরুদ্ধে। প্রধান প্রসিকিউটর মহম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হাসিনা-সহ এই ৪৬ জনকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর, খোদ হাসিনা-সহ আওয়ামি লিগের বহু নেতার বিরুদ্ধে খুন, অপরহরণ, অত্যাচারের গাদা-গাদা অভিযোগ উঠেছে। শুধুমাত্র হাসিনার বিরুদ্ধেই ২০০-র বেশি মামলা দায়ের হয়েছে। গত অগস্টেই, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বলেছিল, সাম্প্রতিক আন্দোলনের সময় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার করা হবে।
শেখ হাসিনা এখনও ভারতেই আছেন। ইতিমধ্যেই তাঁর কূটনৈতিক ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এর আগে ভারত থেকে হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য বাংলাদেশ আবেদন করবে কিনা, এই প্রশ্নে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, আইন বিভাগ সেই নির্দেশ দিলে তাঁরা আবেদন করবেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর, তারা কি পদক্ষেপ করে সেটাই এখন দেখার। তবে, হাসিনা সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের হিংসায় ২৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেই মৃত্যুগুলির দায় কে বা কারা নেবে, তাদের কে বিচার করবে, সেই প্রশ্নটাও উঠতে শুরু করেছে।