কলকাতা: বাংলাদেশে ভারত বিদ্বেষীদের খেয়োখেয়ি, ঢাকার মসনদ নিয়ে গৃহযুদ্ধ শুরু! ইউনূস শিবির বনাম বিএনপি-জামাত বাগযুদ্ধে চড়ছে পারদ। ফের বাংলাদেশে বিএনপি ও অন্তর্বতী সরকারের মধ্যে ফাটল স্পষ্ট। এক চোরকে সরিয়ে আর এক চোরকে এনেছি! ইউনূসকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে এক বিএনপি নেতাকে। আগে সংস্কার পরে ভোট, দাবি ইউনূসপন্থীদের। কিন্তু, এখনই ভোট চাই, দাবি বিএনপি-জামাতের।
এদিকে রাজনৈতিক দলগুলিকে তুলোধোনা করে চলেছে উপদেষ্টারা। পাল্টা আক্রমণ এসেছে বিএনপি-র দিক থেকে। উপদেষ্টারা অকর্মন্য, বলছে বিএনপি। সংস্কার কোথায়? এই প্রশ্নও তোলা হয়েছে। পুলিশ ঠিক হয়েছে? চালের দাম কমেছে? ইউনূসের কৈফিয়ত চায় বিএনপি। এমনকী রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, জ্যাম নিয়েও উপদেষ্টাদের আক্রমণ করেছে বিএনপি।
রাজনৈতিক দলগুলিকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করছে রাজনৈতিক দলগুলি। ইতিমধ্যে এ মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে এক উপদেষ্টাকে। এ মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে বিএনপি-র মহাসচিব মির্জা ফাখরুলের। তাঁর কথায়, “রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রতিপক্ষ বানাবেন না। এই সরকার ব্যর্থ হলে জনগণ ব্যর্থ হবে। মেপে কথা বলার দরকার রয়েছে।” বিএনপি নেতাদের সাফ দাবি, চুরি রুখতে লড়াই করেছি। ৫৩ বছর কোথায় ছিলেন? পাল্টা খোঁচা এসেছে ইউনূস শিবিরের তরফে। তবে কী এবার বাংলাদেশে দেখা যাবে নতুন বিদ্রোহের আঁচ? ঘোরাফেরা করছে প্রশ্ন।
ইতিমধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশের ‘জুলাই বিপ্লব’। পাল্টা ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের রোজই নতুন করে পারাপতন দেখা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় এবার বিএনপি-র সঙ্গে সংঘাতের রাস্তা চওড়া হতেই যা দেখে অনেকেই বলছেন কট্টর-টক্করে বেসামাল ইউনূস প্রশাসন। নিজেরাই শতছিন্ন, তার মধ্যে ভারত ভাগের ফাঁকা আওয়াজ আসে কোথা থেকে? তা ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ। কেউ কেউ বলছে, ওখানে যা আছে তা নামেই উপদেষ্টা সরকার। আসলে সবাই মুরুব্বি। এরইমধ্যে ফের বাংলাদেশের রাজপথ দখল করতে দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লিগকে। ঢাকা, চট্টগ্রামে দেখা গিয়েছে হাসিনা অনুগামীদের মিছিল। ধানমন্ডির দেওয়ালেও দেখা গিয়েছে ফের ‘জয় বাংলা’ পোস্টার। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত ‘বিদ্রোহের’ আঁচে জল কতটা গরম হয়।