লন্ডন : “মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়।” ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বুধবার এমনই ঘোষণা করেছেন। তিনি জানান তাঁর সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ওমিক্রন সংক্রমণ ঠেকাতে জারি হওয়া সবরকম অতিরিক্ত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে বাইরে বেরোনোর জন্য় পরতে হবে না মাস্কও। কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ এই দেশে ইতিমধ্য়েই শীর্ষে উঠে গিয়েছিল। এখন তা নিম্নমুখী তাই বিধিনিষেধ শিথিল করা হল সরকারের তরফে।
এই নির্দেশিকায় কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে ইংল্যান্ডবাসী। ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেন অনুযায়ী, একান্ত দরকার না পড়লে তাঁরা ওয়ার্ক ফ্রম হোমের শিকল থেকে মুক্তি পেলেন। কোনও বড় জায়গায় যাওয়ার জন্য কোভিড-১৯ সংশাপত্রও দেখাতে হবে না আর। জনতার ‘পরামর্শের’ ভিত্তিতে এই সপ্তাহ থেকে ইংল্যান্ডের স্কুলগুলিতে শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্কও পরতে হবে না। চলতি সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ব্রিটেনের জরুরি করোনাভাইরাস আইন প্রত্যাহার করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। এরপর গতকালই এই নির্দেশিকা জারি করেন তিনি। হাউস অফ কমন্সকে জনসন বলেছেন যে সাম্প্রতিক অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ONS) বিশ্লেষণ দেখায় যে ওমিক্রন এখন সম্ভবত দেশে শীর্ষে পৌঁছেছে। ফলে ন্যূনতম কোভিড বিধিনিষেধ থাকলেই চলবে। এই তথ্য়ে দেখা গিয়েছে, ইংল্যান্ডে কোভিড সংক্রমণ নিম্নগামী এবং কিছু কিছু জায়গা যেমন প্রাইমারি স্কুলগুলিতে এখনও সংক্রমণ মিলছে। তবে আমাদের বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, এই সংক্রমণের কারণ ওমিক্রন।
তিনি গতকাল বলেছেন, “ক্যাবিনেট এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে বুস্টার ডোজ দেওয়ার ফলে এবং জনসাধারণ যেভাবে প্ল্যান বি পদক্ষেপে সাড়া দিয়েছে, আমরা ইংল্যান্ডের প্ল্যান এ-তে ফিরে যেতে পারি এবং প্ল্যান বি কে বাতিল করতে পারি। ফলে বৃহস্পতিবার থেকে কোভিড সংশাপত্র বাধ্যতামূলক থাকবে না। সংস্থাগুলি, অবশ্যই, স্বেচ্ছায় এনএইচএস কোভিড পাস ব্যবহার করতে পারে তবে আমরা ইংল্যান্ডে কোভিড শংসাপত্রের বাধ্যতামূলক ব্যবহারে ইতি টানব।”
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ইংল্যান্ড প্ল্যান বি অনুযায়ী পদক্ষেপ করা শুরু করে। কারণ তখন দেশে ওমিক্রন সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিল। যুক্ত রাজ্যের অন্যান্য জায়গায়ও প্রায় একই করোনাবিধি মেনে চলা হয়েছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হতেই ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, “দেশে বদ্ধ জায়গা বা ভিড়ের মধ্যে অপরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে সংস্পর্শে আসার সময় মাস্ক পরবেন। তবে আমি ব্রিটেনের মানুষের বিচার বুদ্ধিকে ভরসা করি। যারা মাস্ক পরবেন না তাদের কোনও শাস্তি হবে না।” সোমবার থেকে হোম আইসোলেশনের নতুন নির্দেশিকা জারি করেছিল ব্রিটেন। ৭ দিনের বদলে ৫ দিন করে দেওয়া হয়েছিল হোম আইসোলেশনের সময়। পঞ্চম এবং ষষ্ঠ দিনে করোনার দুটি নেগেটিভ রিপোর্ট আসলে হোম আইসোলেশনের আর দরকার নেই।
আরও পড়ুন : Viral Story: ভালবাসার টানে প্রেমিকার মাকে দিয়েছিলেন কিডনি! প্রতিদানে জুটল ‘ব্রেকআপ’