তিলোত্তমার ঘটনার প্রতিবাদ শুধু কলকাতা বা রাজ্যে নেই। এই ঘটনার প্রতিবাদ দেশ ছাড়িয়ে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু এরই মাঝে আবার বাঙালিদের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। একরাশ বিষাদের মধ্যেই এই পুজো করতে চলেছেন প্রবাসী বাঙালিরা। সেই রকমই ব্রিটেনে অবস্থিত অ্যাসেক্স পুজো কমিটি পুজো করলেও, তাঁদের মূল থিম ‘জাস্টিস ফর তিলোত্তমা’। দেখতে দেখতে ন’বছরে পা দিল এই পুজো কমিটি।
এই বছর অ্যাসেক্স-এর পুজোর মূল আকর্ষণ কী?
অ্যাসেক্স-এর পুজোর মূল আকর্ষণ বিখ্যাত মৃৎশিল্পী মোহনবাঁশী রুদ্রপাল ঘরানার সনাতন রুদ্রপালের তৈরি মূর্তি। আশি নব্বই দশকে বহুবার শারদ সম্মান পেয়েছেন তিনি। যারাই দেখেছেন তাঁর বানানো মূর্তি থেকে চোখ ফেরাতে পারেননি।
তবে শুধু প্রতিমা নয়। সঙ্গে রয়েছে এক অভিনব মণ্ডপসজ্জা ও তোরণ। মণ্ডপে ঢুকলে মনে হবে আপনি নিউ মার্কেট, হাওড়া ব্রিজ, দক্ষিণেশ্বরে রয়েছেন। বুঝতেই পারবেন না কলকাতায় আছেন নাকি যোজন মাইল দূরে। উপরি পাওনা হিসাবে থাকছে কালীঘাটের পটুয়াশিল্পীদের হাতে আঁকা ছবি।
এছাড়াও এসেক্সের পুজোতে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। নাচ-গান-আবৃত্তিতে জমজমাটি মজা-আড্ডায় কীভাবে যে চারটে দিন কেটে যাবে ধরতেও পারবেন না। বাঙালিদের সঙ্গে থাকছে রমফোর্ডের মেয়রও। পাঞ্জাবি এক ব্যক্তির গলায় রবীন্দ্রনাথের আবৃত্তি শুনতে পাবেন আপনি।
ডক্টর শেফের পরিচালনায় এই কয়েকদিন দুপুর ও রাতের খাবার আয়োজন করেছে কমিটির সদস্যরা । তাঁরাই নিজের হাতে রান্না ও পরিবেশন করবেন। নবমী নিশিতে আয়োজন ররেছে বিজয়া সম্মিলনীর। সেদিন পুজো হবে আচার মেনে। তবে উৎসব হবে বিচার পেলে। এই বছর আলোর রোশনাই হয়ত কিছুটা কম হবে, বাহ্যিক চাকচিক্য হয়ত কিছুটা কমবে। কিন্তু আন্তরিকতা যে কম থাকবে না তা কিন্তু বুঝিয়ে দিল অ্যাসেক্স পুজো কমিটি।