ইতিহাসে প্রথম, ফের ট্রাম্পকে ইমপিচমেন্ট করার পথে মার্কিন কংগ্রেস!
ট্রাম্প যদি ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হন, তাহলে কার্যকরী প্রেসিডেন্ট হবেন তাঁর রানিং মেট মাইক পেন্স। এক্ষেত্রে মাইক পেন্সের সমর্থন থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যদিও সেই সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না পেন্সও।
ওয়াশিংটন: এর আগে কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দু’বার ইমপিচমেন্টের মুখে পড়তে হয়নি। মার্কিন ক্যাপিটলে ভয়াবহ হামলার পর সেই ইতিহাস তৈরির রূপকারও হতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। বিদায়ী প্রেসিডেন্টের মেয়াদ রয়েছে আর ৯ দিন। কিন্তু এই অল্প সময়ের জন্যও প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পকে দেখতে নারাজ ডেমোক্র্যাটরা। তাদের মতে ট্রাম্প যতদিন হোয়াইট হাউসে থাকবেন দেশ ততই বিপদের দিকে এগোবে, তাই তড়িঘড়ি সংবিধানের ২৫-তম সংশোধন প্রয়োগ করে ট্রাম্পকে হঠিয়ে দিতে চাইছেন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।
ট্রাম্প যদি ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হন, তাহলে কার্যকরী প্রেসিডেন্ট হবেন তাঁর রানিং মেট মাইক পেন্স। এক্ষেত্রে মাইক পেন্সের সমর্থন থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যদিও সেই সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না পেন্সও। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট নিয়ে বিবেচনা করছেন তিনিও। তবে হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সাফ কথা, মাইক পেন্স না চাইলেও হাউসে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাবনা আসবে।
হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে ডেমোক্র্যাটদের। তাই হাউসে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব এলে পাস হওয়া কার্যত সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, ট্রাম্পকে সরাতে হলে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাবনা দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হতে হবে সেনেটেও। বহু দিন পর সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ফিরে পেয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান সেনেটরও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। এমতাবস্থায় সেনেটেও ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাস হওয়ার সম্ভাবনাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, সংবিধান ও গণতন্ত্র বাঁচাতে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কার্যত একই কথা রিপাবলিকান সেনেটর প্যাট টুমির মুখে। তিনিও সাফ জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব ট্রাম্পের পদত্যাগ করা উচিত। ন্যান্সি পেলোসি চিঠি দিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে জানিয়েছেন, ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে জানাতে। তা নাহলে মাইক পেন্সকে ছাড়াই হাউসে প্রস্তাবনা আসবে ইমপিচমেন্টের।
আরও পড়ুন: ‘শীঘ্রই পদত্যাগ না করলে হঠিয়ে দেওয়া হবে ট্রাম্পকে’
অর্থাৎ মার্কিন কংগ্রেসে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের ভোটাভুটি কার্যত সময়ের অপেক্ষা। প্রসঙ্গত এর আগেও ট্রাম্পকে ইমপিচড করার প্রস্তাব এসেছিল মার্কিন কংগ্রেসে। তখন প্রস্তাবনা হাউসে পাস হলেও আটকে গিয়েছিল সেনেটে। অবশ্য তখন সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল রিপাবলিকানদের।