Dawood Ibrahim: মুম্বইয়ের ছেলে দাউদের বর্তমান ঠিকানা কী? পাকিস্তানের কোথায় থাকেন?

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Dec 18, 2023 | 5:20 PM

Dawood Ibrahim: দাউদ কোথায় রয়েছেন তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দাবি করা হয়। ভারত স্পষ্ট জানায় যে, দাউদ পাকিস্তানে লুকিয়ে আছেন। কিন্তু পাকিস্তান বারবার তা অস্বীকার করেছে। তারপর ২০২০ সালে পাকিস্তান স্বীকার করে যে, দাউদ পাকিস্তানে। তবে দাউদ করাচিতে যখন ছিলেন তখন তাঁর উপর অনেক ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলেও জানায় পাক বিদেশ মন্ত্রক।

Follow Us

করাচি: দাউদ ইব্রাহিম কেবল আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন নন, ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড। কিন্তু, সেই মুম্বই হামলার পর থেকেই কার্যত বেপাত্তা দাউদ। কখনও দুবাই তো কখনও পাকিস্তান- বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে তিনি আস্তানা গেড়েছেন। যদিও দাউদের অবস্থানের কথা কোনও দেশ স্বীকার করেনি। তবে সম্প্রতি দাউদের করাচি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। দাউদকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে এবং তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর। তাহলে পাকিস্তানেই অবস্থান করছিলেন দাউদ? পাকিস্তানের কোথায় আস্তানা নিয়েছিলেন ডি কোম্পানির মালিক? এমন প্রশ্ন-ই উঠছে।

যদিও পাকিস্তান সরকারের তরফে দাউদের সেদেশে অবস্থান বা বর্তমানে অসুস্থ হয়ে করাচি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়নি। ২০২০ সালে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের একটি নথিতে দাউদের বাড়ির ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে, তিনি পাকিস্তানে ছিলেন।

 

কখনও দুবাই আবার কখনও পাকিস্তান গন্তব্য হয়ে ওঠে

ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর মতে, দাউদ ইব্রাহিম ১৯৫৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর মুম্বইয়ের রত্নগিরিতে জন্মগ্রহণ করেন। পুলিশ কনস্টেবল ইব্রাহিম কাসকারের ছেলে দাউদ ছোটবেলা থেকেই আন্ডারওয়ার্ল্ডের প্রতি সখ্যতা তৈরি করেন। এই সখ্যতা এতটাই বেড়ে যায় যে তিনি বম্বের (বর্তমানে মুম্বই) গ্যাংস্টার এবং ডন করিম লালার সঙ্গে প্রতিযোগিতা শুরু করেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দাউদের পরিধি বাড়তে থাকে এবং ১৯৯৩ সালে তিনি মুম্বইয়ে একটি বিস্ফোরণ ঘটান। এরপর তিনি ভারত ছাড়েন। তারপর কখনও দুবাই আবার কখনও পাকিস্তান হয়ে ওঠে তাঁর গন্তব্য। ধীরে ধীরে দাউদের অপরাধের পরিধি বাড়তে থাকে এবং ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ তাঁকে কুখ্যাত অপরাধীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

দাউদের ঠিকানা কী?

দাউদ কোথায় রয়েছেন তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দাবি করা হয়। ভারত স্পষ্ট জানায় যে, দাউদ পাকিস্তানে লুকিয়ে আছেন। কিন্তু পাকিস্তান বারবার তা অস্বীকার করেছে। তারপর ২০২০ সালে পাকিস্তান স্বীকার করে যে, দাউদ পাকিস্তানে। করাচির ক্লিফটনে সৌদি মসজিদের কাছে দাউদের ঠিকানা হোয়াইট হাউস বলে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া দাউদের আরও দুটি ঠিকানা জানানো হয়। করাচির হাউজিং অথরিটির ৩৭-৩০ স্ট্রিট ডিফেন্স এবং নুরাবাদের প্যালেসিয়াল বাংলোগুলিকেও দাউদের আস্তানা হিসাবে উল্লেখ করা হয়।

তবে দাউদ করাচিতে যখন ছিলেন তখন তাঁর উপর অনেক ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলেও জানায় পাক বিদেশ মন্ত্রক। আরও বলা হয়, দাউদের ভারতীয় পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।

আল কায়েদার সঙ্গে সংযোগ

রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দাউদ লাদেনকে নানাভাবে সাহায্য করেছেন। অস্ত্রও সরবরাহ করেছেন। অনেক পরিকল্পনা প্রণয়নেও পরস্পরের সহযোগিতা পেয়েছেন।

করাচি: দাউদ ইব্রাহিম কেবল আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন নন, ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড। কিন্তু, সেই মুম্বই হামলার পর থেকেই কার্যত বেপাত্তা দাউদ। কখনও দুবাই তো কখনও পাকিস্তান- বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে তিনি আস্তানা গেড়েছেন। যদিও দাউদের অবস্থানের কথা কোনও দেশ স্বীকার করেনি। তবে সম্প্রতি দাউদের করাচি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। দাউদকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে এবং তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর। তাহলে পাকিস্তানেই অবস্থান করছিলেন দাউদ? পাকিস্তানের কোথায় আস্তানা নিয়েছিলেন ডি কোম্পানির মালিক? এমন প্রশ্ন-ই উঠছে।

যদিও পাকিস্তান সরকারের তরফে দাউদের সেদেশে অবস্থান বা বর্তমানে অসুস্থ হয়ে করাচি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়নি। ২০২০ সালে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের একটি নথিতে দাউদের বাড়ির ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে, তিনি পাকিস্তানে ছিলেন।

 

কখনও দুবাই আবার কখনও পাকিস্তান গন্তব্য হয়ে ওঠে

ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর মতে, দাউদ ইব্রাহিম ১৯৫৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর মুম্বইয়ের রত্নগিরিতে জন্মগ্রহণ করেন। পুলিশ কনস্টেবল ইব্রাহিম কাসকারের ছেলে দাউদ ছোটবেলা থেকেই আন্ডারওয়ার্ল্ডের প্রতি সখ্যতা তৈরি করেন। এই সখ্যতা এতটাই বেড়ে যায় যে তিনি বম্বের (বর্তমানে মুম্বই) গ্যাংস্টার এবং ডন করিম লালার সঙ্গে প্রতিযোগিতা শুরু করেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দাউদের পরিধি বাড়তে থাকে এবং ১৯৯৩ সালে তিনি মুম্বইয়ে একটি বিস্ফোরণ ঘটান। এরপর তিনি ভারত ছাড়েন। তারপর কখনও দুবাই আবার কখনও পাকিস্তান হয়ে ওঠে তাঁর গন্তব্য। ধীরে ধীরে দাউদের অপরাধের পরিধি বাড়তে থাকে এবং ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ তাঁকে কুখ্যাত অপরাধীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

দাউদের ঠিকানা কী?

দাউদ কোথায় রয়েছেন তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দাবি করা হয়। ভারত স্পষ্ট জানায় যে, দাউদ পাকিস্তানে লুকিয়ে আছেন। কিন্তু পাকিস্তান বারবার তা অস্বীকার করেছে। তারপর ২০২০ সালে পাকিস্তান স্বীকার করে যে, দাউদ পাকিস্তানে। করাচির ক্লিফটনে সৌদি মসজিদের কাছে দাউদের ঠিকানা হোয়াইট হাউস বলে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া দাউদের আরও দুটি ঠিকানা জানানো হয়। করাচির হাউজিং অথরিটির ৩৭-৩০ স্ট্রিট ডিফেন্স এবং নুরাবাদের প্যালেসিয়াল বাংলোগুলিকেও দাউদের আস্তানা হিসাবে উল্লেখ করা হয়।

তবে দাউদ করাচিতে যখন ছিলেন তখন তাঁর উপর অনেক ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলেও জানায় পাক বিদেশ মন্ত্রক। আরও বলা হয়, দাউদের ভারতীয় পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।

আল কায়েদার সঙ্গে সংযোগ

রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দাউদ লাদেনকে নানাভাবে সাহায্য করেছেন। অস্ত্রও সরবরাহ করেছেন। অনেক পরিকল্পনা প্রণয়নেও পরস্পরের সহযোগিতা পেয়েছেন।

Next Article