North Korea: সোনা-দানা নয়, কিম জং-উনের কোরিয়ায় ব্যাপক চুরি হচ্ছে মানুষের মল

Jan 10, 2024 | 9:26 PM

North Korea: উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং-উন এমনই আইন চাপিয়ে দিয়েছেন নাগরিকদের উপর, যে, উত্তর কোরিয়ার বাসিন্দারা এখন এক প্রকার একে অপরের মল চুরি করতে বাধ্য হচ্ছেন। আসলে, উত্তর কোরিয়ায় প্রাকৃতিক সার তৈরির জন্য কোটা চালু করেছেন কিম।

North Korea: সোনা-দানা নয়, কিম জং-উনের কোরিয়ায় ব্যাপক চুরি হচ্ছে মানুষের মল
প্রতি জানুয়ারিতে কিমকে টন টন মল দিতে হয় উত্তর কোরিয়ার বাসিন্দাদের
Image Credit source: Twitter

Follow Us

পিয়ংইয়ং: সেই কবে, সুকুমার রায় লিখে গিয়েছিলেন, ‘শিব ঠাকুরের আপন দেশে, আইন কানুন সর্বনেশে’। এই পঙক্তিটি একটু অদল-বদল করে শিব ঠাকুরের জায়গায় কিম ঠাকুর বললেও বেমানান হবে না। উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং-উনের কথা হচ্ছে। নিজ দেশে তিনি এমনই আইন চাপিয়ে দিয়েছেন নাগরিকদের উপর, যে, উত্তর কোরিয়ার বাসিন্দারা এখন এক প্রকার বাধ্য হচ্ছেন একে অপরের মল চুরি করতে। আসলে, উত্তর কোরিয়ায় প্রাকৃতিক সার তৈরির জন্য কোটা চালু করেছেন কিম।

উত্তর কোরিয়া ছেড়ে ব্রিটেনে পালিয়ে এসেছেন সেখানকার জনৈক বাসিন্দা কিম জু-ইল। ডেইলি স্টারকে তিনি জানিয়েছেন, আমরা যেমন কর দিই, প্রতি জানুয়ারিতেই উত্তর কোরিয়ার বাসিন্দাদের সরকারকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ মল দিতে হয়। তিনি জানিয়েছেন, মূলত গবাদি পশুর মল দেওয়ার কথা থাকলেও, কোটা পূরণের জন্য নাগরিকরা প্রায়শই নিজেদের মলই জমা করতে বাধ্য হন। না-হলে যে তাদের সেই দেশের কুখ্যাত কারাগারে নৃশংস অত্যাচার সহ্য করতে হবে।

কিম জু-ইল বলেছেন, “উত্তর কোরিয়ার বাসিন্দারা প্রতি বছর সার সংগ্রহ করে। গবাদি পশুর এবং মানুষের মল সংগ্রহ করে সরকারকে দেয়। এভাবে চাষের জন্য প্রাকৃতিক সার তৈরি হয়। উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি দুর্বল, সারের ঘাটতি রয়েছে। তাই সরকার এই বিষয়ে কোটা বেঁধে দিয়েছে। যারা তাদের ব্যক্তিগত কোটা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাদের কঠোর তদন্ত ও শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়।”

সম্প্রত এই মলের কোটা পূরণের চাপ এতটাই বেড়েছে যে, উত্তর কোরিয়ার নাগরিকরা একে অপরের মল চুরি পর্যন্ত করছেন। তবে, ঠিক কত মল দিতে বলা হচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়। কেউ বলছেন জনপ্রতি এক টন করে মল দিতে হচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, শ্রমিকদের কোটা ৬০০ কেজির এবং অবসরপ্রাপ্ত ও ১২ থেকে১৭ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের জন্য ৩০০ কেজির কোটা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার রায়ংগং প্রদেশের এক সরকারি সূত্র জানিয়েছে, চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হলে নাগরিকদের শাস্তি হিসেবে শ্রম প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠানো হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তিও দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই এই কোটা পূরণ করতে হবে। আর তাই এখন, উত্তর কোরিয়ায় সোনাদানা নয়, চুরি যাচ্ছে মল।

Next Article