ইসলামাবাদ: পাকিস্তানে (Pakistan) রাজনৈতিক অস্থিরতা কমার কোনও লক্ষণ নেই। কয়েকদিন আগেই পরোক্ষে ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কিছুদিনের মধ্যে প্রাক্তন এই পাক-ক্রিকেটারের এমন অবস্থা হতে পারে। তা হয়ত নিজেই কল্পনা করতে পারেননি ইমরান খান (Imran Khan)। পাকিস্তানের রাজনৈতিক অবস্থা এখন এতটাই খারাপ যে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাও পাক প্রধানমন্ত্রীকে অনাস্থা ভোটে সমর্থন দিতে রাজি নয়। তাই ইমরান পাকিস্তানের মসনদ থেকে সরে যেতে পারেন এই সম্ভাবনাই ক্রমশ জোরাল হচ্ছে। শোনা যায়, পাক সেনা বাহিনীর পছন্দকেই প্রাধান্য দিয়েই ইমরান খানকে দেশের প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী পাকিস্তানি সেনাও ইমরান খানের পাশ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল কামার বজাভেদ বাজওয়া, পাক প্রধানমন্ত্রীকে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশেন বা ওআইসি সম্মেলনের পর প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। চলতি মাসেই এই সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে এই মাসের শেষ দিকেই পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারেন বিরোধীরা। ইমরানের জোটসঙ্গী দলের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ছাড়াও খোদ তেহরিক-ই-ইনসাফের জিতে আসা সদস্যরা ইমরান খানের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারেন।
বেশ কিছু পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের মতে জেনারেল বাজওয়া ও আরও পাক সেনার আরও ৩ জন শীর্ষ সেনা আধিকারিক ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর গোদী থেকে উৎখাতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জেনারেল বাজওয়া ও গোয়েন্দা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আঞ্জুম পাক প্রধানমন্ত্রীক সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তারপরই তাদের নিজেদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ইমরান খানকে কোনওভাবেই ছেড়ে দেওয়া হবে না। তেহরিক-ই-ইনসাফ মনে করছিল প্রাক্তন সেনা প্রধান রাহিল শরীফ, বাজওয়ার সঙ্গে দেখা করে ইমরানের হয়েই কথা বলেছেন, তাতে সরকার বেঁচে গেলেও যেতে পারে। কিন্তু সেই সম্ভাবনাও মুখ থুবড়ে পড়েছে বলেই স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। এখন ইমরান খান সরকার ও কুর্সি বাঁচাতে কী সিদ্ধান্ত নেন সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
আরও পড়ন Sri Lanka Exam Cancelled: বড় সিদ্ধান্ত! বাতিল সব পরীক্ষা, কারণ দেশে কোনও কাগজ নেই