ওয়াশিংটন: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার লড়াই এখনও চলছে (Russia-Ukraine Conflict)। তবে মাঝে মাঝেই সাময়িক যুদ্ধ বিরতির কথা ঘোষণা করছে মস্কো। মাঝে বারবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছিল, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রুশ সেনা বাহিনীর বাইরেও অনেককে নিয়োগ করেছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। পুতিন তথা রুশ সেনার তরফে বারবারই সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এবার আমেরিকার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে (Wall Street Journal) বেরল আরও এক বিস্ফোরক তথ্য। ওই সংবাদমাধ্যমকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সিরিয়ার অভিজ্ঞ যোদ্ধাদের ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইতে ব্যবহার করছে রাশিয়া। রবিবার ওই সংবাদপত্রে এমনটাই প্রকাশিত হয়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ পূর্ব ইউরোপের রাষ্ট্রটিতে হামলা করেছিল রাশিয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই সংবাদপত্রকে ৪ জন মার্কিন আধিকারিক জানিয়েছেন, ১১ দিন হয়ে গেলেও এখনও কিয়েভের দখল নিতে পারেন রুশ সেনা। সেই কারণেই সিরিয়ার অভিজ্ঞ যোদ্ধাদের নিয়োগ করে কিয়েভ দখলের রাস্তা আরও সহজ করতে উদ্যোগী হয়েছে মস্কো। রাশিয়া ২০১৫ সালের সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। সেই সময় রাষ্ট্রপতি বাসর আল আস্সাদের সরকারকে সমর্থন করেছিল মস্কো। একদশকের বেশি সময় ধরে চলায় সিরিয়ার যুদ্ধে রাশিয়ার অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সিরিয়া থেকে আসা বেশ কিছু যোদ্ধা ইতিমধ্যেই রাশিয়াতে পৌঁছে গিয়েছেন এবং ইউক্রেনের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি যে কতজন সিরিয়ান যোদ্ধাকে নিয়োগ করেছে মস্কো এবং এই বিষয়ে এরথেকে বেশি বিস্তারিত তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়।
বিদেশী যোদ্ধারা ইতিমধ্যেই রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য ইউক্রেনে প্রবেশ করেছেন। চেচনিয়ার শক্তিশালী নেতা তথা ক্রেমলিনের বিশ্বস্ত বন্ধু রমজান কাদিরভ ভিডিয়ো শেয়ার করে ইউক্রেনের লড়াইয়ে চেচনিয়ার যোদ্ধাদের অংশগ্রহণের কথা জানিয়েছে। ইউক্রেনে বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা জানিয়েছেন, ২০ হাজার বিদেশি ইউক্রেন সেনার হাত শক্ত করার জন্য ইতিমধ্যেই দেশে ফিরে এসেছেন। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ এখনও জ়েলেনস্কি সরকারের হাতেই রয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনের বন্দর শহর খেরসন দখল করেছে এবং সেখানে গোলাবর্ষণ ইতিমধ্যেই বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার মার্কিন এই দাবি ঘিরে রাশিয়া কী বলে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।