Russia Blames Ukraine for Violating Ceasefire: ‘আমরা চেষ্টা করেছিলাম, ব্যর্থ হয়েছে কিয়েভই’, যুদ্ধবিরতি ভাঙার জন্য ইউক্রেনকেই দুষল রাশিয়া
Russia Blames Ukraine for Violating Ceasefire: রবিবারও আড়াই ঘণ্টার জন্য রাশিয়া যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করলেও, ইউক্রেনের অভিযোগ, মারিউপোল থেকে উদ্ধারকার্য চলার সময়ও গুলি চালিয়েছে।
মস্কো: “রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, প্রাণ হারায় উলু-খাগড়া”- এই প্রবাদ বাক্যটাই চরম সত্য হয়ে উঠেছে ইউক্রেন(Ukraine)-র মানুষদের জন্য। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ(Russia-Ukraine War)-র মাঝে পিষে মরছে সাধারণ মানুষই। নাগরিকদের সুরক্ষার কথা ভেবেই গত সপ্তাহে বেলারুশের বৈঠকে মানবিক করিডর (Humanitarian Corridor) তৈরির প্রস্তাবে সায় দিয়েছিল দুই দেশ। প্রস্তাব মেনেই রাশিয়ার তরফে দুইবার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করা হয়। তবে দু’বারেই সেই চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। রবিবারও আড়াই ঘণ্টার জন্য রাশিয়া (Russia) যুদ্ধ বিরতি (Ceasefire) ঘোষণা করলেও, ইউক্রেনের অভিযোগ, মারিউপোল থেকে উদ্ধারকার্য চলার সময়ও গুলি চালিয়েছে এবং ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করেছে রাশিয়া। যদিও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনই নিজেদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। মানবিক করিডর তৈরির জন্য তাদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তা পূরণ করেনি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার তারা দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর ৩টে অবধি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেছিল। সেই সময়ের মধ্যে মারিউপোল ও ভলনোভাকার সাধারণ মানুষেরা সুরক্ষিতভাবে শহর ছেড়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। রাশিয়ার তরফে ইউক্রেন ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সুরক্ষিতভাবে বের করে আনার চেষ্টা করা হলেও, ইউক্রেনই তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি।
গত ৪ মার্চ বেলারুশের সীমান্তে বৈঠকে বসেছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন। সেই বৈঠকেই মানবিক করিডর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দুই দেশ। শনিবার সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করা হলেও, শেষ অবধি তা টেকেনি। দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে। একদিকে রাশিয়া দাবি করে যে, অন্যান্য দেশের নাগরিকদের দেশ ছাড়তে বাধা দিচ্ছে ইউক্রেনেরে সেনা। অন্যদিকে, ইউক্রেনের তরফে দাবি করা হয় যে, যুদ্ধবিরতির মাঝেও সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার বাহিনী।
গতকালও একই অভিযোগ তোলে ইউক্রেন। দাবি করা হয়, মারিউপোলে সংঘর্ষবিরতি জারি থাকাকালীনই হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। আক্রমণে ২ শিশু সহ ৩ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। তবে রবিবারই রাশিয়ার তরফে পাল্টা জবাবে বলা হল, শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে কিয়েভই।