India EV Boom: এক বছরে ১৯ লক্ষ, ভারতের বাজারে আশা জোগাচ্ছে ‘EV-এর উত্থান’
India EV Boom: আগামী পাঁচ বছরে ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছুঁয়ে ফেলবে। শুধু তা-ই নয়, সেই সূত্র ধরে মানুষের মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার চাহিদাও বাড়বে বলে দাবি সেই সমীক্ষার।

নয়াদিল্লি: বিগত কয়েক বছরে ভারতের বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে একাধিক রিপোর্ট। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরে ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছুঁয়ে ফেলবে। শুধু তা-ই নয়, সেই সূত্র ধরে মানুষের মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার চাহিদাও বাড়বে বলে দাবি সেই সমীক্ষার।
বৈদ্যুতিক গাড়ির বাড়ন্ত চাহিদার আবহেই বড় তথ্য প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রক। তাদের প্রকাশিত সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র ২০২৪ সালেই ভারতে ১৯ লক্ষ ৫০ হাজার বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে। যা মোট গাড়ি বিক্রির (বৈদ্যুতিক, পেট্রোল, ডিজেল চালিত) ৭.৪৪ শতাংশ।
লোকসভায় ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার নিয়ে করা একটি প্রশ্নের উত্তরেই এই রিপোর্ট তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রী ভূপতিরাজু শ্রীনিবাস। তিনি জানিয়েছেন, ‘২০১৪ সালের পর থেকে ভারতের বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ির গ্রহণযোগ্যতা দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। সেই অর্থবর্ষে ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের হার ছিল ০.০১ শতাংশ। যা ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ছুঁয়েছে ৭.৩১ শতাংশ।’
মন্ত্রীর আরও দাবি, ‘বৈদ্যুতিক গাড়ির এই বাজার চাহিদা দিন প্রতিদিন আরও বাড়বে বলেই আশা রাখি। গত বছর e-Vahan পোর্টালের আওতায় দেশে মোট ২ কোটির বেশি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। যার মধ্যে ১৯ লক্ষ গাড়ির বৈদ্যুতিক।’
তবে দেশের অন্দরে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি হুড়মুড়িয়ে বাড়লেও, সেই তুলনায় কিন্তু এখন সেরকম চার্জি স্টেশন দেখা যায় না। মন্ত্রী জানিয়েছেন, সেই ব্যবস্থা করে ফেলবে কেন্দ্র। লোকসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘FAME প্রকল্পের আওতায় গোটা দেশজুড়ে পাবলিক ইভি চার্জি স্টেশন তৈরির জন্য ৮৩৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। একই ভাবে PM E-DRIVE প্রকল্পের আওতায় আরও ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে চার্জিং স্টেশনের জন্য।’





