AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Indian Railways: ৪২ হাজারের বেশি আধুনিক কোচ ভারতীয় রেলে, আপনি চেপেছেন?

Linke Hofmann Busch Coaches in Indian Railways: চলতি অর্থ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত প্রকাশ হওয়া তথ্য বলহে এই সময় রেল কোচ উৎপাদনে প্রায় ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। এই সময়ে তৈরি হয়েছে ৪ হাজার ২২৪টির বেশি এলএইচবি কোচ। গত বছর এই একই সময়ের ব্যবধানে তৈরি হয়েছিলও ৩ হাজার ৫৯০টি কোচ।

Indian Railways: ৪২ হাজারের বেশি আধুনিক কোচ ভারতীয় রেলে, আপনি চেপেছেন?
ভারতীয় রেলে বিপ্লব, আপনি সাক্ষী হয়েছেন?Image Credit: Firdous Nazir/NurPhoto via Getty Images
| Updated on: Dec 15, 2025 | 3:39 PM
Share

ভারতীয় রেলে এক নয়া দিগন্ত। গত ১১ বছরে খুব দ্রুত আধুনিকীকরণ হয়েছে আমাদের দেশের রেল ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, ৪২ হাজার ৬০০-এর বেশি লিঙ্ক হফম্যান বুশ বা এলএইচবি কোচও তৈরি করেছে ভারতীয় রেলের বিভিন্ন কোচ কারখানা। আর এই সংখ্যাটি ২০০৪ থেকে ২০১৪ সালে তৈরি হওয়া এই আধুনিক কোচের সংখ্যার তুলনায় অন্তত ১৮ গুণ বেশি। নতুন এই কোচের কারণে কমেছে দুর্ঘটনা। বেড়েছে রেলের গতি। নিরাপদ, মসৃণ ও উন্নত হয়েছে রেল পরিষেবা।

শুধু আগের তথ্য নয়। চলতি অর্থ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত প্রকাশ হওয়া তথ্য বলহে এই সময় রেল কোচ উৎপাদনে প্রায় ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। এই সময়ে তৈরি হয়েছে ৪ হাজার ২২৪টির বেশি এলএইচবি কোচ। গত বছর এই একই সময়ের ব্যবধানে তৈরি হয়েছিলও ৩ হাজার ৫৯০টি কোচ। দেশের প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো একটি বিবৃতি জারি করে এই তথ্য দিয়েছে।

কোথায় তৈরি হয় এলএইচবি কোচ?

দেশে এই জার্মান প্রযুক্তির এলএইচবি কোচ তৈরি করে মূলত ৩টে কারখানা। প্রথম, চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি বা আইসিএফ, রায়বেরিলির মডার্ন কোচ ফ্যাক্টরি বা এমসিএফ ও পঞ্জাবের কাপুরথালার রেল কোচ ফ্যাক্টরি বা আরসিএফ। এর মধ্যে আইসিএফ তৈরি করেছে ১ হাজার ৬৫৯টি কোচ, এমসিএফ তৈরি করেছে ১ হাজার ২৩৪টি কোচ ও আরসিএফ তৈরি করেছে ১ হাজার ৩৩১টি কোচ। এই তিন কারখানার মিলিত উৎপাদন শক্তিই ভারতীয় রেলকে আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

লিঙ্ক হফম্যান বুশ বা এলএইচবি কোচগুলির নিরাপত্তা একেবারে টপ নচ। এ ছাড়াও এই কোচের রক্ষণাবেক্ষণের খরচও অনেক কম। এ ছাড়াও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে এই কোচ তৈরি হওয়ায় এর ওজনও কম হয়। এ ছাড়াও এই কোচে ব্যবহৃত হয় ‘ইন্টারলকিং কাপলার’। ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে এই কোচগুলো একে অপরের উপর উঠে যায় না। এ ছাড়াও এই কোচগুলো সাধারণ ভাবেই ১৬০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। আর এই প্রযুক্তিতেই তৈরি বন্দে ভারতের কোচগুলো আরও বেশি গতিতে চলতে পারে। আর এই কোচ উৎপাদন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ও ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। যদিও কেন্দ্রের পরবর্তী লক্ষ্য হল দ্রুত গতিতে কোচ উৎপাদন করে ক্রমবর্ধমান যাত্রী চাহিদা মেটানো।