Oman Jaguar: ওমান থেকে ভারতে এল ২০ ‘বুড়ো’ জাগুয়ার, কী কাজে লাগাবে বায়ুসেনা?
Indian Air Force: প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ুসেনার এই পদক্ষেপ আসলে একটা সঙ্কটেরই ইঙ্গিত দেয়। বর্তমানে ভারতের যুদ্ধবিমানের স্কোয়াড্রন সংখ্যা মাত্র ৩০, অথচ প্রয়োজন রয়েছে ৪০। নতুন রাফাল বা দেশীয় তেজস বিমান আসায় দেরি হচ্ছে। প্রায় ২০০টি তেজসের অর্ডার দেওয়া হলেও, সেগুলি আসতে এখনও সময় নেবে।

ওমানকে ধন্যবাদ জানালো ভারতীয় বায়ুসেনা। কেন? কারণ, ওমানের বায়ুসেনা তাদের ২০টিরও বেশি পুরনো জাগুয়ার যুদ্ধবিমান ভারতকে দিয়ে দিচ্ছে। জাগুয়ার যুদ্ধবিমান, যা আর উড়বে না। বরং, ব্যবহৃত হবে যন্ত্রাংশ হিসেবে। এই বিষয়টা শুনতে দারুণ আকর্ষণীয় না হলেও দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কারণ, ভারত বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি দেশের মধ্যে অন্যতম, যারা এখনও এই জাগুয়ার যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। ১৯৭৯ সালে প্রথম ভারতে এসেছিল এই যুদ্ধবিমান।
যন্ত্রাংশের অভাব কেন? ব্রিটেন, ফ্রান্স ও ওমান; এই তিন দেশই তাদের জাগুয়ার বিমানকে অবসরে পাঠিয়েছে। এই বিমানের উৎপাদনও বন্ধ হয়ে গিয়েছে বেশ অনেক বছর আগে। ফলে এই বিমানের যন্ত্রাংশ খুঁজে পাওয়াই এই মুহূর্তে বেশ চ্যালেঞ্জের।
- ওমান ভরসা: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ওমানের সঙ্গে ভারতের বহুদিনের সম্পর্ক। সেই কারণেই এই পুরনো বিমানগুলিকে নিয়ে আসা হচ্ছে তার যন্ত্রাংশ ব্যবহারের জন্য।
- ছয় স্কোয়াড্রনের দায়িত্ব: ভারতীয় বায়ুসেনার মোট ৬টি জাগুয়ার স্কোয়াড্রন রয়েছে। প্রতি স্কোয়াড্রনে রয়েছে ১৮ থেকে ২০টি করে বিমান। ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধ থেকে শুরু করে বহু গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনে ব্যবহার করা হয়েছে এই জাগুয়ার যুদ্ধবিমান।
বয়সের ভার: ইতিমধ্যেই বেশ পুরনো হয়ে গিয়েছে এই জাগুয়ার যুদ্ধবিমান। ফলে এই ধরনের পুরাতন যুদ্ধবিমানকে চালু রাখতে গেলে ঘন ঘন রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন। আর সেই কারণেই প্রয়োজন হয় যন্ত্রাংশের।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ুসেনার এই পদক্ষেপ আসলে একটা সঙ্কটেরই ইঙ্গিত দেয়। বর্তমানে ভারতের যুদ্ধবিমানের স্কোয়াড্রন সংখ্যা মাত্র ৩০, অথচ প্রয়োজন রয়েছে ৪০। নতুন রাফাল বা দেশীয় তেজস বিমান আসায় দেরি হচ্ছে। প্রায় ২০০টি তেজসের অর্ডার দেওয়া হলেও, সেগুলি আসতে এখনও সময় নেবে। ততদিন পর্যন্ত, এই পুরনো কিন্তু নির্ভরযোগ্য জাগুয়ার বিমানগুলোর উপরই রয়েছে ভারতকে রক্ষার গুরুদায়িত্ব। আর সেই কারণেই ওমানের এই ‘স্পেয়ার পার্টস’ ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে এই মুহূর্তে সোনার চেয়ে কম কিছু নয়।
