Kmc Election 2021: পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন আছে? হাইকোর্টে জানাতে হবে কমিশনকে

Kmc Election 2021: কেন্দ্রীয় বাহিনীর আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা হাইকোর্টই ভালো বুঝতে পারবে বলে উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল বিজেপি।

Kmc Election 2021: পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন আছে? হাইকোর্টে জানাতে হবে কমিশনকে
আসন্ন ছোট লালবাড়ির লড়াই। (প্রতীকি ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 14, 2021 | 3:59 PM

কলকাতা : পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, রাজ্য নির্বাচনের কাছে জানতে চাইল আদালত। আজ কলকাতা হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামিকাল, বুধবার সকাল ১১টায় কমিশন জানাবে পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তাদের কী অবস্থান। আজ, মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি।

কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয় যে, ‘হাইকোর্টের কাছে বিষয়টি আপনারা জানান।’ আজ তাই সেই আবেদন নিয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় গেরুয়া শিবির।

কী অভিযোগ বিজেপির?

বিজেপির দাবি, বিজেপির প্রার্থী পুর্ণিমা চক্রবর্তী সহ চার জন হুমকির শিকার। তাঁদের অভিযোগও পুলিশ নিচ্ছে না। তাঁরা প্রচার করতে পারছেন না বলেও দাবি বিজেপির। ভোট শান্তিপূর্ণ হবে না বলে আশঙ্কা বিজেপি নেতৃত্বের। সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টে আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছে বলেই তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ। নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন বলে মনে করে গেরুয়া শিবির।

কী বললেন অ্যাডভোকেট জেনারেল?

অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি অভিযোগ যে প্রার্থীরা ভীত, হুমকির শিকার। অথচ এখনও কেউ নমিনেশন তুলে নিয়েছে, এমন ঘটনা ঘটেনি। ৩০ নভেম্বরের পর কোনও নতুন অভিযোগও বিজেপির তরফ থেকে করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, এজি মনে করেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন কি না, তা জানাবে কমিশন। সদ্য হয়ে যাওয়া ত্রিপুরার নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে ক্ষেত্রে কমিশন বলেছিল যে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। তাই এ ক্ষেত্রেও কমিশন চাইলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

কী বলল আদালত?

আজই বিজেপি নেতার করা অন্য একটি মামলায় পুরভোটে সব বুথে সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সে কথা উল্লেখ করে বিচারপতি মান্থা প্রশ্ন করেন, কেন সিঙ্গল বেঞ্চে আবারও মামলা করা হল। বিজেপির আইনজীবী এস কে কাপুর জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। এরপরই আদালত নির্দেশ দেয়,  কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন কি না, তা আগামিকাল আদালতে জানাতে হবে কমিশনকে

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেন। সেখানে বলা হয়, বিজেপির চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকে নানা রকম হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সুকান্তের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন এই হুমকি দিচ্ছেন। এমনকী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্যও ভয় দেখানো হয়েছে। সেই মামলায়  সুপ্রিম কোর্ট বলে, ‘হাইকোর্টের কাছে বিষয়টি আপনারা জানান।’

সব বুথে সিসিটিভি:

সব বুথে সিসিটিভির প্রয়োজন আছে বলে আবেদন জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাঝি। তাঁর বক্তব্য, শেষ বিধানসভা নির্বাচনেও হিংসার ঘটনা ঘটেছে। ভোটের দিন যাই হোক না কেন, পরে আদালতে যেতে হলে আর কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় না। তখন এই ফুটেজগুলি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে আবেদনে উল্লেখ করেন তিনি। সেই মামলার শুনানিতে সব বুথে সিসিটিভি মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব।

আরও পড়ুন: BSF Empowered: বিএসএফ-মামলায় কেন্দ্রের কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট