চতুর্থ দফার ভোটের দিন কমিশনের বিজ্ঞাপণে ‘অমর জওয়ান জ্যোতি’! উঠছে নানা প্রশ্ন

মূলত দেশের প্রতিরক্ষার সঙ্গে যুক্ত যা কিছু তা কখনওই রাজনীতির 'হাতিয়ার' হতে পারে না বলেই বিশ্বাস করে কমিশন (Election Commission)।

চতুর্থ দফার ভোটের দিন কমিশনের বিজ্ঞাপণে 'অমর জওয়ান জ্যোতি'! উঠছে নানা প্রশ্ন
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Apr 11, 2021 | 4:13 PM

নিউ দিল্লি: ভোটারকে ভোটদানে উৎসাহ দেওয়াটা নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কিন্তু সেই উৎসাহ দিতে এবার কমিশনের বিজ্ঞাপণে ‘অমর জওয়ান জ্যোতি’। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কমিশনের কড়া নির্দেশ, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কোনও বিষয়কে তুলে এনে ভোট প্রচার করা যাবে না। অথচ কমিশন নিজে যে বিজ্ঞাপণটি করেছে, সেখানে ১৯৭১-এর যুদ্ধে শহিদদের স্মৃতিস্মারক ‘অমর জওয়ান জ্যোতি’র সিল্যুয়েট ব্যবহার করা হয়েছে।

বাংলায় চতুর্থ দফার ভোটের দিন ‘ইলেকশন কমিশন অব ইন্ডিয়া’র টুইটার হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করা হয়। যেখানে ‘অমর জওয়ান জ্যোতি’র একটি ছবির উপরে লেখা, ‘তাঁরা তাঁদের দেশের জন্য নিজের প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। আপনারা দেশের জন্য ভোট দিতে পারবেন না?’ সঙ্গে লেখা ‘দয়া করে নির্ভয়ে নিজের ভোট দিন। ভোট শুধু আপনার অধিকারই নয়, আপনার কর্তব্যও।’ একইসঙ্গে সে ছবিতে হাতে ফুলের স্তবক নিয়ে এগিয়ে চলেছে কার্টুনিস্ট আরকে লক্ষ্মণের ‘কমন ম্যান’।

এখানেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অতীতে নির্বাচন কমিশন পরামর্শ দিয়েছিল, নির্বাচনের প্রচার কিংবা কোনও কর্মসূচি থেকে প্রতিরক্ষা বিষয়ক যে কোনও কিছুকে দূরে রাখতে হবে। এমনকী প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকা কারও ছবি বা তাঁর কার্যকলাপও ভোটের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। ২০১৩ সালে এ বিষয়ে প্রথম নির্দেশিকা জারি হয়।

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় পুলওয়ামা-বালাকোটের পরও এ বিষয়ে কড়াকড়ি করে কমিশন। মূলত দেশের প্রতিরক্ষার সঙ্গে যুক্ত যা কিছু তা কখনওই রাজনীতির ‘হাতিয়ার’ হতে পারে না বলেই বিশ্বাস করেছে কমিশন। আর তা থেকেই অতীতে কড়াকড়িও দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি কেন অদূর অতীতেও এ ধরনের ছবি ব্যবহার করে কমিশন বিজ্ঞাপণ দিয়েছে বলে মনে করতে পারছেন না প্রাক্তন কমিশন আধিকারিকদের একাংশ।

আরও পড়ুন: ‘দুষ্টু ছেলেরা শীতলকুচিতে গুলি খেয়েছে, বুঝেছে গুলির গরম, সবে শুরু’, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

যদিও কমিশন সূত্রে খবর, এই বিজ্ঞাপণের উদ্দেশ্য একেবারেই অন্য ছিল। শুধু সশস্ত্র বাহিনীই নয়, পুলিশ বাহিনীকেও বোঝাতে চাওয়া হয়েছে এই সিল্যুয়েটের মাধ্যমে। আর বাহিনীর রাজনীতিকরণ নয়, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে এগিয়ে আসেন, সেই লক্ষ্যেই এই বিজ্ঞাপণ।