‘যথেষ্ট প্রচার হয়েছে, এবার মানুষকে বিচার করতে দিন’, বললেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে যাতে প্রচার না করা হয়, সেই আর্জি নিয়ে তিনটি জনস্বার্থ মামলা (PIL) হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।

'যথেষ্ট প্রচার হয়েছে, এবার মানুষকে বিচার করতে দিন', বললেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Apr 20, 2021 | 2:54 PM

কলকাতা: করোনা (COVID 19) সংক্রমণের গ্রাফ প্রতিনিয়ত মানুষের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। গত দু’দিন ধরে ২৪ ঘণ্টার হিসেবে আট হাজারের বেশি মানুষকে আক্রান্ত হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের। মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড নেই। এরই মধ্যে রাজ্যে চলছে নির্বাচন। এখনও বাকি তিন দফা। প্রচারও চলছে পুরোদমে। সেই প্রচার বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে হওয়া মামলায় এবার প্রচার নিয়ে সতর্ক করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি। বললেন, ‘যথেষ্ট প্রচার হয়েছে, এবার মানুষকে বিচার করতে দিন’।

করোনা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে, তাই নির্বাচনী প্রচার বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে তিনটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। আর সেই মামলার শুনানি ছিল মঙ্গলবার। সেই শুনানিতে বিচারপতি বলেন, ‘ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকে যথেষ্ট র‍্যালি, জনসভা হয়েছে, এবার মানুষকে বিচার করতে দিন।’

এ দিকে, এই মামলায় রাজ্য সরকারের দাবি, পুরো দায়টাই নির্বাচন কমিশনের। এ দিন আদালতে রাজ্যের তরফে দাবি করা হয় নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু থাকা অবস্থায় করোনা নিয়ে যা কিছু করার, তার সবটাই করবে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ রাজ্যের এ ক্ষেত্রে কিছু করণীয় নেই। কিন্তু, বিচারপতি নির্দেশ দেন, করোনা বিধি নিয়ে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার খতিয়ান আদালতের কাছে পেশ করতে হবে রাজ্যকে। পাশাপাশি, রাজনৈতিক জনসভা বা রোড শো-তে যথাযথভাবে করোনা বিধি মেনে চলা হচ্ছে কিনা, সেই বিষয়েও নজর দিতে বলা হয় রাজ্য সরকারকে। প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নিতেও বলেন বিচারপতি।

আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। কেন কমিশনকেই সব দায়িত্ব নিতে হবে, সেই ব্যাখ্যা সে দিন দিতে হবে রাজ্যকে। এক্ষেত্রে কমিশনকে সবরকম সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: করোনা কড়চা: শোয়ানো একের পর এক করোনা লাশ, কোভিড হাসপাতাল থেকে অন্যত্র চলে গেল বাবার দেহ

উল্লেখ্য, করোনাকালে রাজনৈতিক প্রচার বন্ধ করার সওয়াল উঠেছে বিভিন্ন মহলে। ভোটের দফা কমানোর আবেদন জানিয়ে কমিশনকে চিঠিও দিয়েছিল তৃণমূল। যদিও কমিশন সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। ইতিমধ্যেই কলকাতায় জনসভা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।