
রাখি উৎসবে নিজের হাতে রাখি বেঁধেছিলেন তিনি শাহরুখ খানকে। সেই দিন থেকেই তাঁকে ভাই বলে ডাকেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার সঙ্গে বরাবরই শাহরুখের বেশ গভীর সংযোগ। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে যতবার সম্ভব হয়েছে এ রাজ্যে ছুটে এসেছেন তিনি। মমতাও একাধিকবার শাহরুখের প্রশংসায় হয়েছেন পঞ্চমুখ। তাই ভাইয়ের জন্মদিন ভোলেননি তিনি।
শাহরুখের ৬০তম জন্মদিনে আবারও উষ্ণ শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। এক্স প্ল্যাটফর্মে তিনি লিখেছিলেন, “আমার ভাই শাহরুখ খানের জন্মদিনে অনেক শুভেচ্ছা। ভারতীয় সিনেমা তোমার অবদানে আরও সমৃদ্ধ হোক।” মুখ্যমন্ত্রীর এই শুভেচ্ছা বার্তা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মি়ডিয়ায়, অনুরাগীরা শুভেচ্ছা ও ভালবাসায় ভরিয়ে দেন কমেন্ট বিভাগ।
মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তাও চোখ এড়ালো না শাহরুখের। তিনিও সোশ্যাল মিডিয়া মারফত দিলেন জবাব। লিখলেন, “দিদি, শুভেচ্ছাবার্তার জন্য ধন্যবাদ। আমি শীঘ্রই কলকাতায় যাব।”
শাহরুখ খানের সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক বহু পুরোনো। কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক তিনি। ২০১৯ সালের কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মমতার পাশে দাঁড়িয়ে শহরবাসীর মন জয় করেছিলেন বলিউডের বাদশা। কলকাতা, রাজনীতি ও সংস্কৃতির পরিসরে তাঁর নাম যেন আজ বাংলারই এক আপন আত্মীয়।
কিছুদিন আগেই ‘কিং’ ছবির শুটিং করতে গিয়ে পেশিতে চোট পান শাহরুখ। তখনও মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছিলেন। আজ তাঁর জন্মদিনে সেই শুভেচ্ছাই যেন আরও একবার নতুন করে সে সকল স্মৃতিতে তরতাজা করল।
প্রসঙ্গত, এবছরও অনুরাগীরা শাহরুখ খানের বাড়ির সামনে মধ্যে রাতে সেলিব্রেশনের জন্যে হাজির হয়েছিলেন। তবে মন্নত পুনঃনির্মাণের কারণে এখন সেখানে পরিবারকে নিয়ে থাকছেন না শাহরুখ। তাই এদিনের মধ্যরাতের সেলিব্রেবশনের সাক্ষী থাকলেন না কিং খান। তিনি বর্তমানে রয়েছেন আলিবাগে। সেখানেই ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধুদের সঙ্গে জন্মদিন সেলিব্রেট করেন কিং খান।