Exclusive: ‘কোথাও শেখায় না মানুষ মারো’, ভাস্বরের কাশ্মীরি মুসলিম বন্ধুদের আর্তনাদ
লিখেছেন বই, কত স্মৃতি তাঁর কাশ্মীর জুড়ে। রয়েছে বন্ধু, কাছের মানুষেরা। মঙ্গলবারের শিউরে ওঠা ঘটনা চোখে পড়তেই কাশ্মীর থেকে একের পর এক ফোন পেতে শুরু করেন তিনি। কী কথা হয় তাঁদের সঙ্গে? TV9 বাংলায় শেয়ার করলেন অভিনেতা।

অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের কাছে কাশ্মীর তাঁর দ্বিতীয় বাড়ি। বরাবরই কাশ্মীরের প্রতি তিনি আলাদা এক টান অনুভব করেন। লিখেছেন বই, কত স্মৃতি তাঁর কাশ্মীর জুড়ে। রয়েছে বন্ধু, কাছের মানুষেরা। মঙ্গলবারের শিউরে ওঠা ঘটনা চোখে পড়তেই কাশ্মীর থেকে একের পর এক ফোন পেতে শুরু করেন তিনি। কী কথা হয় তাঁদের সঙ্গে? TV9 বাংলায় শেয়ার করলেন অভিনেতা।
ভাস্বরের কথায়, “আমি অসম্ভব কষ্ট পাচ্ছি, যখন থেকে খবরটা শুনেছি…। আমি দুপুর নাগাদ খবরটা পাই। আমি তো এত বছর ধরে কাশ্মীর যাচ্ছি, এতদিন এক অন্য কাশ্মীরকে আমি দেখে এসেছি। যে কাশ্মীরে কোথাও কোনও জঙ্গি হামলা নেই, সবাই সুখে আছেন, ভাল আছেন। সব থেকে বড় কথা যেটা দেখে এসেছি, পর্যটন ফুলে ফেঁপে উঠেছে। দুর্গাপুজোর সময় রীতিমত ধর্মতলার মোড়ের মতো ভিড় হয় ডাল লেকের ধারে। সেই কাশ্মীরকে আবার পুরোনো জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। জেহাদিদের ইচ্ছে করে এই বদমাইশি কেন? যখনই দেখবেন অমরনাথ যাত্রা আসে, ঠিক তার আগে পর্যটন ভাল চলে, তখনই কিছু না কিছু ঘটায়। যাতে পর্যটন ক্ষতিগ্রস্থ হয়, কাশ্মীরিদের পেটে লাথি মারা যায়। আমার যে কজন বন্ধু রয়েছে, অনেকের সঙ্গেই আমার কথা হচ্ছে, সকলেরই খুব মন খারাপ। সবাই একটাই কথা বলছে, আমাদের তো পেটে লাথি পড়ল। আবার তো সব বন্ধ হয়ে যাবে, আমরা বাড়িতে বসে থাকব। এটা ইচ্ছে করে প্রতিবার করা হয়। ওদের ক্ষতি করার জন্য। আরেকটা কথা বলতে চাই, জঙ্গিদের কোনও ধর্ম হয় না। আমার বন্ধুরাই বলছেন, এরা মুসলিম নয়। আমাদের কোথাও শেখায় না তোমরা মানুষ মারো। ওরা যদি মনে করে আবার ১৯৯০-র পুরাবৃত্তি হবে, যেখাবে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের তাড়িয়ে ছিল, আমার মনে হয়, সেটা বিরাট ভুল ওদের। ভারত সরকার এখন মারমুখী। ওদের ছেড়ে দেবে না। ঘর থেকে কেন, পাতাল থেকে খুঁজে এনে মারবে। আমি লিখে দিতে পারি। আমার বন্ধুরা ওখানে মোমবাতি মিছিলে শামিল হচ্ছে, বিচার চাইছে। জঙ্গিদের শাস্তি চাইছে।”