Kareena Kapoor Khan: বয়স আট মাস, এর মধ্যেই যোগা করতে শিখে গেল করিনার ছোট ছেলে জেহ!
Kareena Kapoor Khan: জেহর একটি মজার ছবি বৃহস্পতিবার সোশ্যাল ওয়ালে শেয়ার করেছেন করিনা। আট মাস বয়স হল তার।
করিনা কাপুর খানের ফিটনেসের রহস্য কী? সুষম পরিমিত আহার তো বটেই। সঙ্গে অবশ্যই ওয়ার্কআউট। শারীরিক কসরতের ক্ষেত্রে যোগাকে তিনি খুবই গুরুত্ব দেন। প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডেও যোগা করার ছবি শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর বড় ছেলে তৈমুর আলি খানের যোগা করার ছবিও শেয়ার করেছেন। আর এ বার ছোট ছেলে জেহর পালা।
জেহর একটি মজার ছবি বৃহস্পতিবার সোশ্যাল ওয়ালে শেয়ার করেছেন করিনা। আট মাস বয়স হল তার। করিনা মজা করে লিখেছেন, এর মধ্যেই যেন সে যোগা করছে। পুরো পরিবারই যোগায় অভ্যস্ত। মজা করে লিখেছেন তিনি। জেহর নতুন এই ছবি আপাতত করিনার অনুরাগীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে।
কিছুদিন আগের এক সাক্ষাৎকারে করিনা সাফ জানিয়েছেন, তিনি চান না তাঁর দুই সন্তান তৈমুর (টিম) ও জাহাঙ্গীর (জেহ) সিনেমায় আসুক। দুই সন্তানের ভিন্ন ব্যক্তিত্ব নিয়েও মুখ খোলেন বেবো। তিনি বলেন, “তৈমুরের ব্যক্তিত্ব অনেকটাই ওর বাবা সইফের মতো। জাহাঙ্গীর আমার ও সইফের দু’জনেরই ব্যক্তিত্ব পেয়েছে। টিম স্যাজিটেরিয়ান। ও খুব শিল্প মনস্ক, শৈল্পিক বিষয়ে ওর আগ্রহ আছে। ছবি আঁকতে ভালবাসে। রং করতে পছন্দ করে। বিভিন্ন বিষয়ে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে টিম। জে পাইসিয়ান। দেখি ওর আগ্রহ কীসে তৈরি হয়…।”
View this post on Instagram
দুই ছেলের নাম নিয়ে যে বিতর্ক চলেছে তা নিয়েও মুখ খুলেছেন করিনা। ইতিহাস বলছে, নুরুউদ্দিন মহম্মদ সেলিম বা জাহাঙ্গীর ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের চতুর্থ সম্রাট। তিনি ১৬০৫ সাল থেকে তার মৃত্যু অবধি ১৬২৭ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেন। এর আগে প্রথম সন্তানের নাম তৈমুর রাখা নিয়ে সমালোচিত হয়েছিল কাপুর ও খান পরিবার। অত্যাচারী শাসক তৈমুরের নামে কী করে ছেলের নামকরণ হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। জাহাঙ্গীরের বেলাতেও অন্যথা হয়নি। করিনার কথায়, “আর কোনও উপায় নেই। আমায় ধ্যান করতে হবে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। একটি মুদ্রায় দুটি পিঠ। পজেটিভ-নেগেটিভ। এই দুই নিষ্পাপ শিশুকে নিয়ে কথা হচ্ছে। তবে হ্যাঁ আমি খুশি থাকব ও একই সঙ্গে পজেটিভ থাকব।”
নিজের লেখা ‘করিনা কাপুর খানস্ প্রেগন্যান্সি বাইবেল’ বইতে শুধু ছেলের নামই ফাঁস করেননি করিনা। জানিয়েছেন সন্তান গর্ভে আসার পর শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনের নানা কথাও। সেই পরিবর্তন নিজের জীবনে কীভাবে সামলেছেন করিনা, সে সবই এই বইয়ের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন তিনি। হবু মায়ের কেমন ডায়েট প্রয়োজন, কতটা ওয়ার্কআউট আসন্ন সন্তানের জন্য ভাল, সে সব সাজেশনও দিয়েছেন তিনি। করিনা আরও জানিয়েছেন, সন্তান জন্ম নেওয়ার পর যে স্ট্রেচ মার্কস হয় তা নয়ে বেশ চিন্তায় ছিলেন তিনি। সমস্যার এখানেই শেষ নয়, সন্তান জন্ম নেওয়ার আগেই বাচ্চার জন্য একগাদা শপিং করা তাঁর যেন অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। ভালবাসা জন্মেছিল পিৎজার প্রতিও। বহুবার বহু মানুষ তাঁকে প্রশ্ন করেছেন, “আমি কি তোমার বেবিবাম্প ছুঁয়ে দেখতে পারি?” অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে দিয়েও যেতে হয়েছে করিনা কাপুর খানকে।
আরও পড়ুন, Mekhla Dasgupta: বিয়ের আগে নতুন খবর, প্রথম এই কাজটি করলেন মেখলা