সইফের জন্মদিনে প্রথমবার ছোট ছেলে জেহ সহ পরিবারের ছবি প্রকাশ করলেন করিনা

Saif Ali Khan birthday: ছোট ছেলে জেহর ছবি এই প্রথম এত স্পষ্ট ভাবে শেয়ার করলেন করিনা। তাঁর শেয়ার করা দ্বিতীয় ছবিতে ছেলেরা নেই। পুলের মধ্যে শুধুমাত্র দম্পতি একান্তে সময় কাটাচ্ছেন।

সইফের জন্মদিনে প্রথমবার ছোট ছেলে জেহ সহ পরিবারের ছবি প্রকাশ করলেন করিনা
সপরিবার সইফ-করিনা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে গৃহীত।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2021 | 12:01 PM

গালে হাত দিয়ে বসে রয়েছে তৈমুর আলি খান। শুয়ে হাত পা ছুঁড়ে খেলা করছে ছোট ভাই জেহ। সেখানেই হাসি মুখে বসে রয়েছেন বাবা, মা অর্থাৎ সইফ আলি খান এবং করিনা কাপুর খান। এই প্রথম পুরো পরিবারের ছবি প্রকাশ্যে শেয়ার করলেন নায়িকা। উপলক্ষ্য সইফের জন্মদিন।

সইফের ৫১তম জন্মদিন। তা তো স্পেশ্যাল হবেই। এই মুহূর্তে মালদ্বীপের একটি প্রাইভেট আইল্যান্ডে সপরিবার ছুটি কাটাচ্ছেন সইফ-করিনা। সেখানে তোলা এই ছবি সোমবার ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে করিনা লিখেছেন, ‘হ্যাপি বার্থডে টু দ্য লভ অব মাই লাইফ… টু ইটারনিটি অ্যান্ড বিঅন্ড উইথ ইয়ু ইজ অল আই ওয়ান্ট।’

ছোট ছেলে জেহর ছবি এই প্রথম এত স্পষ্ট ভাবে শেয়ার করলেন করিনা। তাঁর শেয়ার করা দ্বিতীয় ছবিতে ছেলেরা নেই। পুলের মধ্যে শুধুমাত্র দম্পতি একান্তে সময় কাটাচ্ছেন। সইফের জন্মদিনে বলি ইন্ডাস্ট্রির বহু সদস্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনুরাগীরাও। পুরো পরিবারকে একসঙ্গে প্রথমবার দেখে উত্তেজিত সকলে।

সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতি এবং জেহর জন্ম, সব মিলিয়ে অনেকদিন বেড়াতে যাননি সইফ–করিনা। তারপর উপর কাজের চাপ। সব মিলিয়ে নাকি হাঁপিয়ে উঠেছিলেন তাঁরা। সে কারণেই এই ব্রেক তাঁদের প্রয়োজন ছিল। মলদ্বীপে নাকি একটি প্রাইভেট আইল্যান্ডে দিন কয়েকের ছুটি কাটাবেন তাঁরা। করিনা আগেই জানিয়েছেন হাবেভাবে ও দেখতে তৈমুরের থেকে একেবারেই আলাদা তাঁর ভাই জাহাঙ্গীর ওরফে জেহ। তৈমুর দেখতে বাবা সইফ আলি খানের মতো, অন্যদিকে জেহ দেখতে হুবহু মায়ের মতো। তাঁর কথায়, “আমার দুই সন্তানই চারিত্রিক দিক দিয়েও একেবারে আলাদা। তৈমুর আউটগোয়িং। কিন্তু তিন মাস বয়সেই জেহ অনেক বেশি চুপচাপ, শান্ত।”

পাশাপাশি দুই ছেলের নাম নিয়ে যে বিতর্ক চলছে তা নিয়েও মুখ খুলেছেন করিনা। ইতিহাস বলছে, নুরুউদ্দিন মহম্মদ সেলিম বা জাহাঙ্গীর ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের চতুর্থ সম্রাট। তিনি ১৬০৫ সাল থেকে তার মৃত্যু অবধি ১৬২৭ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেন। এর আগে প্রথম সন্তানের নাম তৈমুর রাখা নিয়ে সমালোচিত হয়েছিল কাপুর ও খান পরিবার। অত্যাচারী শাসক তৈমুরের নামে কী করে ছেলের নামকরণ হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। জাহাঙ্গীরের বেলাতেও অন্যথা হয়নি। করিনার কথায়, “আর কোনও উপায় নেই। আমায় ধ্যান করতে হবে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। একটি মুদ্রায় দুটি পিঠ। পজেটিভ-নেগেটিভ। এই দুই নিষ্পাপ শিশুকে নিয়ে কথা হচ্ছে। তবে হ্যাঁ আমি খুশি থাকব ও একই সঙ্গে পজেটিভ থাকব।”

নিজের লেখা ‘করিনা কাপুর খানস্ প্রেগন্যান্সি বাইবেল’ বইতে শুধু ছেলের নামই ফাঁস করেননি করিনা। জানিয়েছেন সন্তান গর্ভে আসার পর শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনের নানা কথাও। সেই পরিবর্তন নিজের জীবনে কীভাবে সামলেছেন করিনা, সে সবই এই বইয়ের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন তিনি। হবু মায়ের কেমন ডায়েট প্রয়োজন, কতটা ওয়ার্কআউট আসন্ন সন্তানের জন্য ভাল, সে সব সাজেশনও দিয়েছেন তিনি। করিনা আরও জানিয়েছেন, সন্তান জন্ম নেওয়ার পর যে স্ট্রেচ মার্কস হয় তা নয়ে বেশ চিন্তায় ছিলেন তিনি। সমস্যার এখানেই শেষ নয়, সন্তান জন্ম নেওয়ার আগেই বাচ্চার জন্য একগাদা শপিং করা তাঁর যেন অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। ভালবাসা জন্মেছিল পিৎজার প্রতিও। বহুবার বহু মানুষ তাঁকে প্রশ্ন করেছেন, “আমি কি তোমার বেবিবাম্প ছুঁয়ে দেখতে পারি?”

অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে দিয়েও যেতে হয়েছে করিনা কাপুর খানকে। করিনা জানিয়েছেন এমন অনেক সময় হয়েছে তিনি হাসছেন, খুব হাসছেন কিন্তু হঠাৎ করেই কান্না পেয়ে গিয়েছে ওই হাসির মুহূর্তের মাঝেই। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ‘মুড সুইং’ স্বাভাবিক বিষয়, করিনাও তার ব্যক্তিক্রম নন। আবার হাঁচতে গিয়ে প্রস্রাব হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে তাঁর সঙ্গে। এ সবই বইতে বিশদে লিখেছেন করিনা।

আরও পড়ুন, শাবানা আজমি এবং স্মিতা পাটিলের জন্য বহু অফার হাতছাড়া হয়েছিল রত্নার!