স্কুলে জিলিপি পার্টি অথবা টুপি পরা লোকের জন্মদিন, স্কুল পড়ুয়া এই চার খুদে শিল্পীর স্বাধীনতা দিবস…
Independence Day 2021: চার খুদে শিল্পীর কাছে স্বাধীনতা দিবসের অর্থ কী? TV9 বাংলার সঙ্গে শেয়ার করল অঙ্কিত মজুমজার, অ্যাডোলিনা চক্রবর্তী, তানি এবং মুনি।
স্কুলের গণ্ডি পেরোয়নি তারা। অথচ অভিনয় হোক বা গান, ইতিমধ্যেই এ সব শিল্পকলায় দর্শকের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে। এহেন চার খুদে শিল্পীর কাছে স্বাধীনতা দিবসের অর্থ কী? TV9 বাংলার সঙ্গে শেয়ার করল অঙ্কিত মজুমজার, অ্যাডোলিনা চক্রবর্তী, তানি এবং মুনি।
অঙ্কিত মজুমদার (অভিনেতা) স্কুল: ন্যাশনাল জেমস সপ্তম শ্রেণী
আমার কাছে ইন্ডিপেনডেন্স ডে মানে হল ডে অফ ইন্ডিপেনডেন্স। এই দিনটার জন্য ছবি আঁকি। বন্ধুরা গান, কবিতা দেয়। আমাদের স্কুল গ্রুপে দিতে হয়। সেখানে ছবি এঁকে দিই। ফ্রিডম ফাইটারদের ছবি আঁকি। ইন্ডিয়ার ফ্ল্যাগ আঁকি। যুদ্ধ আঁকি। আবার ১৫ অগস্টের বিভিন্ন কম্পিটিশনও হয়। মানে আগে হত। স্কুলের বাইরে। সেখানে ফার্স্ট হয়েছিলাম। আগের বছরই ফার্স্ট হয়েছিলাম। ফ্রিডম ফাইটারদের ছবি এঁকে প্রাইজ় পেয়েছিলাম। আমি নেতাজীতে অভিনয় করতে শুরু করি ক্লাস ফোরে। ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত চলেছিল। ওটা করার পর ১৫ অগস্ট আরও বেশি কানেক্ট করতে পারি। আবার স্বাধীনতা দিবসের অনেক অনুষ্ঠানে গেস্ট হিসেবেও গিয়েছি।
ফ্রিডম ফাইটারদের মধ্যে আমার নেতাজীকে সবথেকে বেশি ভাল লাগে। আমি নেতাজীকে ভালবাসি। বাঘা যতীন, অরবিন্দ ঘোষকে পছন্দ করি। ফ্রিডম ফাইটার কনসেপ্টটাই পছন্দ আমার। ভাল লাগে। কেন ভাল লাগে, বলতে পারব না। ভাল লাগে। আর যখন ফ্ল্যাগ তোলা হয়, গায়ে কাঁটা দেওয়ার ফিলিং হয়।
(ধারাবাহিক ‘শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত মীরা’, ‘গোলন্দাজ’ ছবির কাজ শেষ করেছে অঙ্কিত। ওয়েব সিরিজ ‘মোহমায়া’তেও তার অভিনয় দেখেছেন দর্শক)
অ্যাডোলিনা চক্রবর্তী স্কুল: দিল্লি পাবলিক স্কুল, রুবি পার্ক চতুর্থ শ্রেণী
১৫ অগস্ট ইন্ডিপেনডেন্স ডে। ওই দিন আমাদের স্বাধীনতা হয়েছিল। ১৯৪৭-এ। ইন্ডিয়ার ইন্ডিপেন্ডেনস ডে। ব্রিটিশ যারা ছিল, তাদের থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছিলাম। আমাদের স্কুলে তো ফ্ল্যাগ তোলা হয়। এ বছর তো স্কুলে যেতে পারব না। তাই ক্রাফ্টে ফ্ল্যাগ তৈরি করেছি। মুসুর ডাল দিয়ে অরেঞ্জ অংশটা বানিয়েছি। লিফ দিয়ে গ্রিনটা বানিয়েছি। ব্লু চক্রতে ২৪টা হুইল করেছি। ক্লেডো দিয়ে ব্লু করেছি।
আমরা যখন স্কুলে যেতাম এই দিনটায়, তখন গান গাইতাম। ফ্ল্যাগ তোলা হত। জিলিপি খাওয়াতো। পেরেন্টদের ডাকত। একটা ভাল পার্টি হতো। ‘অ্যায় মেরে ওয়তন কে লোগোঁ’ গাইতাম। আমাদের তো এখন পড়াচ্ছে ডেফিনেশন অব ইন্ডিপেন্ডেনস।
আমি এ বছর ন্যাশনাল অ্যান্থেমটা সিন্থেসাইজ়ারে বাজিয়ে গেয়েছি। আমাদের স্কুলের স্টুডেন্টরা ড্রাম বাজায়, নাচ করে। আগে তো এই দিনটায় বড় করে প্রোগাম হত ক্লাবে, বড় স্টাররা আসত। তারা গাইত। সে সব কিছুই হচ্ছে না। সে জন্য খুবই বোর লাগছে আমার। বাড়িতে একা একা এত কিছু করা যায় না। তবে বাড়িতে ফ্ল্যাগ আছে। ছোট ফ্ল্যাগ। ওটাই তুলব এ বার।
(‘সাগরদ্বীপে যকের দিন’, ‘ক্রিসক্রস’, ‘তারিখ’, ‘দৃষ্টিকোণ’, ‘মুখার্জীদার বউ’-এর মতো ছবিতে অ্যাডোলিনার অভিনয় দেখেছেন দর্শক)
তানি স্কুল: বারাসত ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল স্কুল দ্বিতীয় শ্রেণী
মা, বাপি আগে বলত, তাই-ই শুনেছি ১৫ অগস্ট ইন্ডিপেন্ডনস ডে। আমি দেখেছি ফ্ল্যাগ ওড়ানো হয়। বইতে ছবি দেখেছি। আর ওই দিন একটা লোকের জন্মদিন। ওই যে, টুপি পরে থাকে, চশমা পরে থাকে, তার হ্যাপি বার্থ ডে। আমরা তো গান গাই ১৫ অগস্ট। মুক্তিরও মন্দিরও সোপান তলে..।
মুনি স্কুল: বারাসত ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল স্কুল দ্বিতীয় শ্রেণী
ইন্ডিপেনডেন্স ডে মানে স্বাধীনতা দিবস। আমরা এই দিনটাতে আলাদা কিছুই করি না। বাড়িতে খেলি, গান গাই। কেউ বলেনি তো এটা আলাদা দিন, অন্য কিছু করব কেন? আমাদের কমপ্লেক্সের রিসেপশনে ইন্ডিয়ার ফ্ল্যাগ দেখেছি। স্যাফরন, হোয়াইট, গ্রিন কালেরের। ‘তেরি মিট্টি মে মিলজাওঁয়া’ শিখেছি কয়েকদিন আগে। বাপি বলেছে ওই দিন এই গানটা গাইব।
অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস