ধর্মেন্দ্রকে শেষদেখা দেখতে গিয়ে কী দেখে চমকে উঠেছিলেন হেমা? অবশেষে মুখ খুললেন
মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় তাঁদের চোখ-মুখই বলে দিয়েছিল, বাবাকে হারিয়ে কতটা শোকে রয়েছেন তাঁরা। তবে ধর্মেন্দ্রকে হারিয়ে নিজের আবেগকে সোশাল মিডিয়ার পাতায় মেলে ধরেছিলেন অভিনেতার দ্বিতীয় স্ত্রী তথা অভিনেত্রী হেমা মালিনী। স্পষ্ট লিখেছিলেন, ধরমজিকে হারিয়ে কতটা শোকবিহ্বল তিনি।

নাহ, ধর্মেন্দ্র প্রয়াণের পর তাঁর দুই ছেলে সানি দেওল ও ববি দেওলের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া, শোকজ্ঞাপন প্রকাশ্যে আসেনি। যদিও মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় তাঁদের চোখ-মুখই বলে দিয়েছিল, বাবাকে হারিয়ে কতটা শোকে রয়েছেন তাঁরা। তবে ধর্মেন্দ্রকে হারিয়ে নিজের আবেগকে সোশাল মিডিয়ার পাতায় মেলে ধরেছিলেন অভিনেতার দ্বিতীয় স্ত্রী তথা অভিনেত্রী হেমা মালিনী। স্পষ্ট লিখেছিলেন, ধরমজিকে হারিয়ে কতটা শোকবিহ্বল তিনি।
সম্প্রতি সাংবাদিক হামাদ আল রিয়ামির সঙ্গে দেখা করেন হেমা। তাঁর কাছেই তুলে ধরেন ধর্মেন্দ্র শেষজীবনের কথা। আবেগ তাড়িত হয়ে হেমা জানান, শেষের কয়েকটা দিন কতটা কষ্টকর ছিল ধর্মেন্দ্র। কীভাবে বিছানায় শুয়ে ছটফট করতেন বলিউডের হিম্যান।
হেমা জানান, বরাবরই ফিট থাকতে পছন্দ করতেন ধরমজি। নিজে হাতে, নিজের কাজ করতেন। ব্য়ায়াম ছাড়া তাঁর দিনই শুরু হত না। এমন একটা ফিট মানুষ আট-নয় দিন ধরে বিছানায় শুয়ে। সারা শরীরে তাঁর নল লাগানো। ভেন্টিলেশনে। ভেঙে গিয়েছিল চেহারা। বলিউডের সেই সুপুরুষ মানুষটির দিকে তাকানো যাচ্ছিল।
View this post on Instagram
হেমা আরও বলেন, ”তাঁকে যখন দেখতে গেলাম, তখন দেখলাম বিছানায় শুয়ে রয়েছে যে মানুষটি, সে যেন অন্যকেউ! চিনতেই পারছিলাম না ধরমজিকে। চমকে উঠেছিলম, তাঁর ভেঙে যাওয়া মুখ, শরীর দেখে। কেঁপে উঠেছিলাম। চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি। লড়াকু মানুষ ছিল। তাই ভেবেছিলাম হয়তো সুস্থ হয়ে যাবেন। কিন্তু এবারটি আর হল না। চোখের সামনেই সব শেষ।”
