আজকের দিনেই পাল্টে গিয়েছিল নীতুর জীবন, কার স্মৃতিতে ভাসলেন?
সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বামীর প্রসঙ্গে আবেগঘন কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। এবারে নিজেদের বাগদানের স্মৃতিতে ফিরলেন তিনি। শেয়ার করলেন এক অমূল্য মুহূর্ত— ১৯৭৯ সালের একটি পুরনো অদেখা ছবি, যা দেখে আবেগে ভেসেছেন অনুরাগীরাও।

ভালবাসা এক চিরন্তন বন্ধন। যে স্মৃতি মলিন হওয়ার নয়। আজও তাই নীতু কাপুরের নানা পোস্টে ফিরে ফিরে আসতে দেখা যায় ঋষি কাপুরকে ঘিরে নানা কাহিনি। সেই ভালবাসার নিদর্শন হয়ে আজও থেকে গিয়েছেন ঋষি কাপুর ও নীতু কাপুরের সম্পর্ক। ঋষি কাপুরের স্মৃতি আজও প্রতিটি মুহূর্তে সযত্নে বয়ে চলেছেন স্ত্রী নীতু কাপুর। প্রায়ই সাক্ষাৎকারে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বামীর প্রসঙ্গে আবেগঘন কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। এবারে নিজেদের বাগদানের স্মৃতিতে ফিরলেন তিনি। শেয়ার করলেন এক অমূল্য মুহূর্ত— ১৯৭৯ সালের একটি পুরনো অদেখা ছবি, যা দেখে আবেগে ভেসেছেন অনুরাগীরাও।
“১৯৭৯ সালের এই দিনে…” রবিবার, নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নীতু কাপুর শেয়ার করেন একটি সাদা-কালো ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে ঋষি কাপুর কালো পোশাকে আর তিনি নিজে সাদা পোশাকে রয়েছেন। ছবিটির ক্যাপশনে অভিনেত্রী লেখেন— “১৯৭৯ সালে এই দিনে আমাদের বাগদান হয়েছিল। সময় কোথা দিয়ে চলে যায়।”
এই একটি ছোট্ট বাক্যেই যেন ধরা পড়ল তাঁদের চার দশকের ভালবাসা। ১৯৮০ সালের ২২ জানুয়ারি ঋষি ও নীতুর বিয়ে হয়েছিল। ঠিক তার আগের বছর, ১৩ এপ্রিল, তাঁরা বাগদান সেরেছিলেন। ১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে বলিউডে একের পর এক হিট ছবিতে দেখা গিয়েছিল এই জুটিকে। ‘অমর আকবর এন্থনি’, ‘খেল খেল মে’, ‘রাফু চক্কর’, ‘কাভি কাভি’, ‘বেশারাম’—তালিকা যেন শেষ হওয়ার নয়।
তবে বিয়ের পর ধীরে ধীরে অভিনয় থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন নীতু কাপুর। সংসার আর সন্তানদের দিকেই মনোনিবেশ করেন তিনি। তবে ঋষি কাপুরের প্রয়াণের পর আবারও পর্দায় ফিরেছেন নীতু, কিন্তু সেই শূন্যতা আজও তাঁকে ছেড়ে যায়নি।





