‘পেয়াদা’। রূপকথার গল্পে যে পেয়াদার কথা পড়েছেন, যে পেয়াদার ছবি চলচ্চিত্রে দেখেছেন, এ পেয়াদা তার থেকে অনেকটাই আলাদা। এই ‘পেয়াদা’র জন্ম দিয়েছেন সৌম্য রায়চৌধুরি। গত বছর লকডাউনে বাড়িতে বসেই তৈরি করে ফেলেন ১৩ মিনিটের এই শর্ট ফিল্ম। মুম্বই কাল্ট ফিল্ম ফেস্টিভাল ২০২০-তে প্রথম স্থান অধিকার করে নেয় সে ছবি। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ওয়েব স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হটস্টার-এ দেখা যাচ্ছে ‘পেয়াদা’।
সৌম্যর কথায়, “২০২০ অদ্ভুত একটা সময়। সকলে লকডাউনে গৃহবন্দি। পরিয়ায়ী শ্রমিকদের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সে সময় মিডিয়া, সরকার অন্য একটা ছবি তুলে ধরেছিল বলে মনে হয়েছিল। মগজ ধোলাই চলছে মনে হয়েছিল। যার মগজ ধোলাই হয়ে গিয়েছে, এমন চরিত্র নিয়ে এই গল্প। সেই মানুষটার পয়েন্ট অব ভিউতে তৈরি হয়েছিল পেয়াদা। এমন একটা মানুষকেই দেখি আমরা এই ছবিতে। এ সব ক্ষেত্রে মরালিটির সঙ্গে কোথাও গিয়ে টানাপোড়েন হয়। একটা সকালের ঘটনা। শুরুও নেই, শেষও নেই গল্পের।”
‘পেয়াদা’য় তিনটি চরিত্র। একটিতে সৌম্য নিজে অভিনয় করেছেন। বাকি দুটি চরিত্রে যুধাজিৎ সরকার এবং রোহিনী চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় দেখবেন দর্শক। প্রত্যেকেই বাড়িতে থেকে মোবাইল ফোনে শুটিং করেছিলেন। সৌম্য শেয়ার করলেন, “কখনও বেসিন, কখনও টুল, কখনও ড্রেসিং টেবিলে ক্যামেরা বসিয়ে রেকর্ডিং মোড অন করে সিনেমা তৈরি হয়েছে। কোনও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক নেই।”
‘ভ্যাবাচ্যাকা’, ‘এ বার জমবে মজা’র মতো টেলিভিশন শোয়ে চিত্রনাট্য লিখেছেন সৌম্য। ওয়েব সিরিজ ‘মারাদোনার জুতো’র কনসেপ্ট রাইটার তিনি। ‘দুপুর ঠাকুরপো ৩’ তাঁরই লেখা। সুব্রত দত্তকে নিয়ে শর্ট ফিচার ‘কাউন্টিং’ তৈরি করেছেন তিনি। পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে বলে জানালেন। একজন ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম মেকার হিসেবেই কাজ করার স্বপ্ন দেখেন। যে স্বপ্নকে সত্যি করার পথে ‘পেয়াদা’ অন্যতম মাইলফলক।
আরও পড়ুন, এমন কী শাহরুখের কাছে রয়েছে, যা অমিতাভের কাছে নেই?