AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ছবির শ্যুটিং-এর মাঝেও রাখী গুলজার ব্যস্ত কলকাতার কোন খাবার নিয়ে? জানালেন নিজেই

'মিতিন মাসি'র আদলে তৈরি এই ছবিতে রাখীর সাবলীল অভিনয় দর্শকদের আরও কাছে এনেছেন রাখীকে। এখন 'আমার বস'-এর ঝলক দেখে বাঙালি দর্শক আবার আবেগে ভাসবে বলেই মনে করছেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।

ছবির শ্যুটিং-এর মাঝেও রাখী গুলজার ব্যস্ত কলকাতার কোন খাবার নিয়ে? জানালেন নিজেই
| Edited By: | Updated on: Apr 16, 2025 | 2:31 PM
Share

রাখী গুলজারকে আবার বাংলা ছবিতে দেখা যাবে। এটাই যেন বাঙালি দর্শকদের কাছে এক বড় পাওয়া। খুব শীঘ্রই বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি ‘আমার বস’। ইতিমধ্যেই দর্শক এই ছবির বেশকিছু ঝলক দেখে ফেলেছেন। পরিচালকদ্বয় ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, এই ছবির গল্প শুনে কতটা উৎসাহিত ছিলেন রাখী। আসলে বাঙালি মেয়ে রাখীর সিনেমায় আগমন হিন্দি ছবির হাত ধরে। আর হিন্দি ছবি দাপিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। বাংলা ছবিতেও বহু ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বাঙালি দর্শকদের কাছে তাঁর শেষ বাংলা ছবি বলতে অবশ্যই ‘শুভ মহরত’ স্মৃতিতে উজ্জ্বল। ‘মিতিন মাসি’র আদলে তৈরি এই ছবিতে রাখীর সাবলীল অভিনয় দর্শকদের আরও কাছে এনেছেন রাখীকে। এখন ‘আমার বস’-এর ঝলক দেখে বাঙালি দর্শক আবার আবেগে ভাসবে বলেই মনে করছেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।

‘আমার বস’ ছবির শ্যুট শেষে এই ছবির কলাকুশলীদের নিয়ে ঘরোয়া আড্ডায় উঠে এল আদন্ত বাঙালি রাখীর মেজাজ। এই যে বাঙালি পয়লা বৈশাখ নিয়ে মাতামাতি, খুব কম বাঙালি বাংলা ক্যালেন্ডার মনে রাখেন। বারো মাস ছেড়ে দিলেও কোনও সাল চলছে সেটাই অনেকে মনে রাখেন না। তবে সুদূর আরব সাগরের তীরে নিজের কর্মজীবন ও সংসার জীবন সামলেও আজও চৈত্র সেল, কলকাতার ফুটপাথের জলখাবার ভুলতে পারেননি রাখী গুলজার।

উইন্ডোজ-এর অফিসের ঘরোয়া আড্ডাতেই অভিনেত্রী রাখী জানান, আজও তাঁর স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে আছে, কলকাতার সেই সময়। তিনি বলেন, “হাজরা থেকে বা ল্যান্ডসডাউন রোড থেকে য়খন যেতাম সেখানেই মস্ত বড় পার্ক দেখতে পেতাম। ওই পার্ক রেলিং দিয়ে ঘেরা, সেই ফুট পাথেই থাকত নানা জামা কাপড়ের দোকান, শাড়ি, ব্যগ বিক্রি হতো। ঠিক আমাদের মুম্বইয়ের লিঙ্কিং রোডের মতো। সেই পার্কের মধ্যেই ছিল ফুচকা, অসম্ভব স্বাদ সেই ফুচকার, সঙ্গে ছিল ঝালমুড়ি।”

রাখীর ফুচকা আর ঝালমুড়ি প্রীতি মালুম হয় তাঁর মুখের তৃপ্তি দেখেই। বাংলা ভাষা, বাঙালি খাবার থেকে রবীন্দ্রনাথের গান যে তাঁর যাপন, তা একটু কাছ থেকে দেখেছেন যাঁরা সকলেই স্বীকার করবেন।

এর আগে রাখী গুলজার যখন কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে আসেন, তখনই বাঙালি দেখেন বয়কাট ছাঁটে রাখী গুলজারকে। সেই সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রীখি জানিয়েছিলেন, সারা জীবন অভিনয়ের জন্য চুল কাটতে পারেননি, তবে এবার তিনি সব চুল উড়িয়ে দিয়েছেন। ছোট চুলে তিনি খুবই আরাম পেয়েছেন। এই চুল এখনও বড় করেননি। সেই ছোট করে ছাঁটা চুলেই রাখীকে দেখা যাবে তাঁর আগামী বাংলা ছবিতে।