সম্পর্ক ভাঙার গুঞ্জনের মধ্যে বিস্ফোরক ঋষি! ‘সারাজীবন খবরদারি করেছে’

টলিপাড়ায় হচ্ছেটা কী? চতুর্দিকে বিচ্ছেদের গুঞ্জ। কখনও যিশু নীলাঞ্জনা আবার কখনও বা অর্জুন-সৃজা-- আলোচনার শেষ নেই। এ সবের মধ্যেই রটেছে ঋষি কৌশিক ও স্ত্রী দেবযানীর মধ্যেও নাকি অশান্তির কালো মেঘ। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে ঋষি এড়িয়ে যাচ্ছেন।

সম্পর্ক ভাঙার গুঞ্জনের মধ্যে বিস্ফোরক ঋষি! 'সারাজীবন খবরদারি করেছে'
বিয়ে ভাঙার গুঞ্জনের মধ্যেই বোমা ফাটালেন ঋষি
Follow Us:
| Updated on: Jul 26, 2024 | 12:38 PM

টলিপাড়ায় হচ্ছেটা কী? চতুর্দিকে বিচ্ছেদের গুঞ্জন। কখনও যিশু নীলাঞ্জনা আবার কখনও বা অর্জুন-সৃজা– আলোচনার শেষ নেই। এ সবের মধ্যেই রটেছে ঋষি কৌশিক ও স্ত্রী দেবযানীর মধ্যেও নাকি অশান্তির কালো মেঘ। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে ঋষি এড়িয়ে যাচ্ছেন। ওদিকে বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমে হঠাৎই এক বোমা ফাটিয়েছেন। ‘গল্প’ বলেছেন এক স্বামী-স্ত্রীর। না, কারও নাম তিনি নেননি। এমনকি ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন কিনা তাও খোলসা করেননি, তবে তিনি যা বলেছেন তা শুনলে রীতিমতো চমকে যাবেন আপনি।

কী রয়েছে ওই ভিডিয়োতে? ঋষি কৌশিককে বলতে শোনা যায়, “

“একটা ছোট্ট গল্প বলি। একটা ছেলে ও মেয়ের বিয়ে হয়। তবে ছেলেটি আগেই বুঝতে পারে মেয়েটির সঙ্গে আকাশপাতাল ফারাক। ছেলেটি একটা সাধারণ জীবন যাপন করে ওদিকে মেয়েটি উড়নচন্ডী, বেপরোয়া। ছেলেটি বিয়ে করতে চায়নি। মেয়েটিই বারবার বলতে থাকে, সে নিজেকে বদলে ফেলব। ছেলেটি বারবার বারণ করেছিল। কিন্তু মেয়েটি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যাই হোক, তাঁদের বিয়ে হয়। দেখতে দেখতে ছয় মাস কেটেও যায়। তবে হনিমুন পিরিয়ড চলে যাওয়ার পরেই ছেলেটা বুঝতে পারে মেয়েটি নিজেকে বদলানো তো দূর সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এভাবে দিক কাটতে থাকে। দু’জনের কর্মক্ষেত্র আলাদা। ছেলেটি কিন্তু কাজের দিকে তাঁর পাশেই থাকে। কথায় কথায় ছেলেটির সঙ্গে দুর্ব্যবহার কিন্তু থামে না। ছেলেটি তাও কিছু বলে না। দাঁতে দাঁত চেপে সব সহ্য করতে থাকে। কারণ যে কোনও মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলেমেয়েই সংসার ভাঙতে চায় না। তবে সংসার তো এভাবে হয় না। সহ্যেরও তো একটি সীমা থাকে!”

ছেলেটির খবর তো নেয়নি, শুধু খবরদারি করে গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ছেলেটির স্পেসে কিন্তু মেয়েটি সব সময় ঢোকে। কিন্তু ছেলেটি ঢোকে না, তাতে অশান্তি বাড়ে। সেটি ছেলেটি চায়নি। এরকম করেই কিন্তু ১২টা বছর চলে গিয়েছে। সে যখন আর পারছে না সে মেয়েটিকে বোঝায় যে সে আর পারছে না। এরকম চললে জীবনটাকেই শেষ করে দিতে হবে। এ সব শোনার পরেও মেয়েটি ছেলেটিকে বলতে থাকে তুমি তোমার মতো থাকবে আমি আমার মতো থাকব। এটি কোনও কথা? নিজে যা খুশি করবে তা নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারবে না তা তো হয় না? কারও যদি টিউমার হয়, সেই টিউমারটা বাড়তে বাড়তে কখনও ক্যানসার হবে সেই অপেক্ষা কি করতে হবে ১২ বছর হয়ে গিয়েছে বলে? একটা হাইস্যালারি পোস্টে চাকরি করার পরেও দামি দামি ব্র্যান্ডের জামা, বেপরোয়া জীবনযাপন– এগুলোই কি হাইপ্রোফাইল লাইফস্টাইল? সবার সামনে এরকম ভাব রাখে যে তার মতো লক্ষ্মীমন্ত মেয়ে হয় না। লোকের সামনে এও বলেছে ছেলেটির নাকি মানসিক ভারসাম্য নেই। ছেলেটিকে নাকি সেই কাজ এনে দেয়। এত যন্ত্রণার পরেও ছেলেটি কী করে সংসার করবে? কিছু বলতে গেলেই বিভিন্ন কমিশন এই সেই… পুলিশের ভয় দেখায়, কিন্তু ছেলেটি ভয় পায় না। কারণ সে জানে কোথায় কবে থেকে কী হয়েছে।”

প্রশ্ন হল, এ কী নিছকই গল্প? নাকি ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যাই তুলে ধরেছেন অভিনেতা? অতীতে দেবযানীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতির কথা সামনে আসেনি। তবে এবার? আশঙ্কা ভক্তমনে। মহিলা কমিশনে অভিযোগ দায়েরের উল্লেখ করেছেন ঋষি। মনে করিয়ে দেওয়া যাক দেবযানীও কিন্তু মহিলা কমিশনের উল্লেখযোগ্য স্তম্ভ। ঋষি খোলসা করে কিছুই বলছেন না। তবে সূত্র বলছে কিছু দিন যাবৎ নাকি এক বাড়িতে থাকছেন না টলিপাড়ার এই দম্পতি। তাহলে?