AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মাধুরীর জন্যই ভাঙে বিয়ে? অসুস্থ স্ত্রীকে ফেলে চলে সঞ্জয়ের পরকীয়া!

ব্যক্তিগত জীবনের কারণেও বারবার উঠে এসেছেন তিনি খবরের শিরোনামে। তবে তাঁর জীবনে অন্ধকার অধ্যায়ের পাশাপাশি সম্পর্ক নিয়েও কম জল্পনা তুঙ্গে উঠতে দেখা যায় না। স্ত্রী রিচা শর্মার সঙ্গে বিয়ে থেকে বিচ্ছেদ, আজও নানাভাবে সিনেপাড়ার অন্দরে চর্চিত।

মাধুরীর জন্যই ভাঙে বিয়ে? অসুস্থ স্ত্রীকে ফেলে চলে সঞ্জয়ের পরকীয়া!
| Edited By: | Updated on: Apr 22, 2025 | 5:09 PM
Share

বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রে জায়গা করে এসেছে। বাবা সুনীল দত্ত এবং মা নার্গিস দত্ত, ফলে জন্ম সূত্রেই তিনি পরিচিত, কারণ তিনি স্টারকিড। অভিনয় জগতে পা রেখেছেন ১৯৮১ সালে, ছবির নাম ‘রকি’। রাতারাতিই হয়ে ওঠেন সুপারস্টার। পেশাগত সাফল্যের পাশাপাশি, ব্যক্তিগত জীবনের কারণেও বারবার উঠে এসেছেন তিনি খবরের শিরোনামে। তবে তাঁর জীবনে অন্ধকার অধ্যায়ের পাশাপাশি সম্পর্ক নিয়েও কম জল্পনা তুঙ্গে উঠতে দেখা যায় না। স্ত্রী রিচা শর্মার সঙ্গে বিয়ে থেকে বিচ্ছেদ, আজও নানাভাবে সিনেপাড়ার অন্দরে চর্চিত।

সঞ্জয় একটি ম্যাগাজিনে রিচার ছবি দেখে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে প্রেম, এবং অবশেষে ১৯৮৭ সালে বিয়ে। কিন্তু সুখের সংসার দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বিয়ের কিছুদিন পরই রিচার মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ে। চিকিৎসার জন্য তাঁকে পাঠানো হয় নিউইয়র্কে, যেখানে তাঁর পরিবার ছিল। চিকিৎসা চলার মাঝেই ছড়িয়ে পড়ে নতুন গুজব— সঞ্জয় নাকি অসুস্থ রিচাকে ছেড়ে দিয়েছেন। এরপরই অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার খবর সামনে আসে।

তবে এক পুরনো সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন, তিনি স্ত্রীকে ছেড়ে যাননি বরং পরিবারের ‘অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ’ই ছিল তাঁদের সম্পর্ক ভাঙনের আসল কারণ। রিচার বাবা-মা ও বোন তাঁকে নিয়ে নানা ভুল তথ্য ছড়িয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সঞ্জয়ের কথায়, রিচার চিকিৎসার জন্য তাঁর রোজগারের একটি বড় অংশ খরচ হয়ে গিয়েছিল। তিনি নিজের কাজ ফেলে আমেরিকায় উড়ে গিয়েছিলেন স্ত্রীকে দেখতে।

এই গুজবও ছড়িয়েছিল যে, রিচা অসুস্থ হওয়ার কারণে যখন তাঁর মাথার চুল কমতে শুরু করে, সঞ্জয় তাঁকে প্রকাশ্যে আনতে চাইতেন না। এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে সঞ্জয় বলেন, ‘‘আমি সেই মানুষ নই যে স্ত্রীর চুল উঠে গেলে ভালবাসা হারিয়ে ফেলব।’’ বরং স্ত্রীর পাশে থাকার চেষ্টা করেছিলেন বলেই জানান।