সাবিত্রীকে কেন ঈর্ষা করতেন সুচিত্রা সেন, নিজেই জানিয়েছিলেন
সকলের সামনেই সুচিত্রা সেন স্বীকার করতেন, তিনি সাবিত্রীর অভিনয়কে ঈর্ষা করেন। আসলে অন্য অভিনেত্রীর কাজকে সুচিত্রা সেন এই ভাবেই প্রশংসা করতেন। মিসেস সেনের সবকিছুই ছিল অন্যদের থেকে একদম আলাদা।

সুচিত্রা সেন ও সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে একসঙ্গে ছবিতে দেখা গিয়েছে খুব কম। এর মধ্যে প্রধান দুটি ছবির কথা বলা যায়, ‘ওরা থাকে ওধারে’ , ‘একটি রাত’। বিভিন্ন পত্রিকা থেকে জানা যায় অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক ছিল মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের।এদিকে সুচিত্রা সেন এর মেজাজ নিয়ে তটস্থ থাকতেন টলিপাড়ার সকলে, এতটাই প্রভাব ছিল মহানায়িকার। কখনও তিনি স্নেহময়ী, কখনও আবার বেজায় মুডি।
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, সুচিত্রা সেন তাঁকে খব স্নেহ করতেন, আর সাবি বলে ডাকতেন। একদিন শ্যুটিং এর জন্য স্টুডিওতে মেকআপ করছেন। অর্ধেক মেকআপ হয়েছে। হঠাৎই একজন এসে খবর দিলেন ম্যাডাম সাবিত্রী দিকে ডাকছেন। মেকআপ শেষ করার আগেই ছুটলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। কারণ মিসেস সেনের মেজাজ খারাপ হলেই সমস্যা।
অর্ধেক মেকআপ নিয়ে সাবিত্রী পৌঁছন সুচিত্রার রুমের সামনে। সেখানেই দরজার উপরে একটি মা কালীর ছবি আটকানো। দরজা খুলে ঢুকতেই সুচিত্রা বসতে বললেন। সাবিত্রী অনুরোধ করলেন এই ভাবে বসা যায়? সুচিত্রা সেন জানালেন, তিনি ফ্লোরে না পৌঁছলে শ্যুটিং হবেনা । একটু সাবির সঙ্গে গল্প করবেন মহানায়িকা। সুচিত্রা সেনকে রমাদি বলেই ডাকতেন সাবিত্রী।
গল্প শেষে প্রিয় সাবির (সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়) থেকে মিষ্টি পান খেয়ে তবে শান্তি পেলেন মিসেস সেন। গল্পের শেষে আয়নায় তাকিয়ে সুচিত্রা সেন স্বগক্তি করলেন, ” রূপ দিয়েই ভোলালি রমা, সাবির মত অভিনয় করতে পারলি কোই ? ” সেই সময় সকলের সামনেই সুচিত্রা সেন স্বীকার করতেন, তিনি সাবিত্রীর অভিনয়কে ঈর্ষা করেন। আসলে অন্য অভিনেত্রীর কাজকে সুচিত্রা সেন এই ভাবেই প্রশংসা করতেন। মিসেস সেনের সবকিছুই ছিল অন্যদের থেকে একদম আলাদা।
