কাজলের মা তনুজাকে জড়িয়ে উত্তমকুমার কেন বলেছিলেন, ‘তুমি আমার বুকে থাকবে…’

Uttam Kumar Secrets: বুকের মধ্যে ধুকপুকানি বেড়ে গিয়েছিল তনুজার। মনে-মনে ভয়ে কুঁকড়ে গিয়েছিলেন। কলকাতায় এসে শুটিংয়ের প্রথমদিনই উত্তমকুমারকে দেখে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন কাজলের মা। সম্প্রতি তনুজা তাঁর 'অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি'তে অভিনয়ের কিছু মুহূর্তের কথা ভাগ করে নিয়েছেন।

কাজলের মা তনুজাকে জড়িয়ে উত্তমকুমার কেন বলেছিলেন, 'তুমি আমার বুকে থাকবে...'
তনুজা এবং উত্তম ('অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি'), বৃদ্ধ বয়সে তনুজা...
Follow Us:
| Updated on: May 23, 2024 | 4:43 PM

মহানায়ক উত্তমকুমারের সঙ্গে ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বলিউডের তৎকালীন সুন্দরী অভিনেত্রী তনুজা। তিনি অবাঙালি। মহারাষ্ট্রে বড় হয়েছেন। মূলত তিনি মারাঠি। বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী কাজলের বাবা পরিচালক সোমু মুখোপাধ্যায়কে। অবাঙালি, বাংলা না বলতে পাড়া, তনুজার সঙ্গে ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’তে নায়ক-নায়িকা জুটি হিসেবে অভিনয় করেন উত্তমকুমার। সেই সময় উত্তমকুমার বিরাট বড় তারকা। তাঁর মতো তারকা নেই। তনুজার বয়স তখন সবেমাত্র ১৮ বছর। মুম্বইয়ে থাকতেই শুনেছিলেন সবচেয়ে বড় তারকার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে চলেছেন তিনি। বুকের মধ্যে ধুকপুকানি বেড়ে গিয়েছিল তনুজার। মনে-মনে ভয়ে কুঁকড়ে গিয়েছিলেন। কলকাতায় এসে শুটিংয়ের প্রথমদিনই উত্তমকুমারকে দেখে সংশয় প্রকাশ করে বলেছিলেন, “আমি কি পারব আপনার সঙ্গে অভিনয় করতে?” সম্প্রতি তনুজা তাঁর ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’তে অভিনয়ের কিছু মুহূর্তের কথা ভাগ করে নিয়েছেন।

উত্তমকুমারের নায়িকা হতে চাইতেন সে যুগের সকল অভিনেত্রীই। মুম্বইয়ের তারকা হলেও তনুজার মধ্যেও ছিল সেই বাসনা। না হলে তিনি ঘাবড়ে যাবেন কেন। তনুজার এই ঘাবড়ে থাকা স্বচক্ষে দেখেছিলেন উত্তমকুমার। তারপর তিনি যা বলেছিলেন তনুজাকে, এক কথায় অনবদ্য ঘটনা। স্মৃতির সরণী দিয়ে হাঁটতে-হাঁটতে তনুজা বলেছিলেন, “উত্তমকুমার বিরাট লম্বা মানুষ আর আমি হলাম ততধিক বেঁটে। উঠে দাঁড়ালে আমি উত্তমকুমারের বুকে। ঠিক সেখানেই তাঁর হৃদয়ে রয়েছে। তাঁর এবং আমার উচ্চতার এই ব্যবধান দেখে উত্তমকুমার আমায় স্বয়ং বলেছিলেন, “আমি তোমাকে আমার বুকের মধ্যেই আগলে রাখব।”

কথা রেখেছিলেন তনুজা। তাঁকে শুটিং চলাকালীন আগলেই রেখেছিলেন উত্তমকুমার। তনুজা বলেছেন, “আমাকে বাংলা শেখানো থেকে শুরু করে অভিনয়–সবটাই করেছিলেন উত্তমকুমার। যতগুলো দিন শুটিং চলেছে, তিনি আমাকে বুকে আগলেই রেখেছিলেন। এতগুলো বছর কেটে গিয়েছে। মানুষটাও বড্ড তাড়াতাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন আমাদের। কিন্তু ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’র ওই মুহূর্তগুলি আজও যেন আমার কাছে গতকালের ঘটনা। আজও আমার স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে উত্তমকুমারের সেই হাসি মুখ।”