Anirban Bhattacharya: হুমকি, মানসিক অত্যাচার, জঞ্জালের মতো ছুঁড়ে দেয়… অনির্বাণের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ‘বন্ধু’র!
Anirban Bhattacharya: গত দু'বছর ধরে হুমকি থেকে শুরু করে খারাপ ব্যবহার এমনকি কাজ মিটলে আগাছার মতো ছুঁড়ে ফেলার অভিযোগও রয়েছে এর মধ্যে।
বিস্ফোরক অভিযোগ অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। অভিযোগ এনেছেন তাঁর ফেসবুক পেজের অ্যাডমিন টিম, এমনটাই দাবি। গত দু’বছর ধরে হুমকি থেকে শুরু করে খারাপ ব্যবহার এমনকি কাজ মিটলে আগাছার মতো ছুঁড়ে ফেলার অভিযোগও রয়েছে এর মধ্যে। অনির্বাণের ভেরিফায়েড পেজ থেকে যে পোস্টটি করা হয়েছে তাতে লেখা হয়েছে, ২০১৮ সালে যখন ওই পেজটি শুরু করা হয় তখন ওই পেজের ফলোয়ার সংখ্যা ছিল মাত্র ৪০০। কিন্তু এই মুহূর্তে ওই পেজের অনুরাগীর সংখ্যা প্রায় দশ লক্ষ।
সুদীর্ঘ ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, “… আমরা ছিলাম ওঁর গুণগ্রাহী। চেয়েছিলাম ওঁর জন্য এমন একটা প্ল্যাটফর্ম যার মাধ্যমে উনি তাঁর ভক্তদের সঙ্গে আলাপচারিতা সারতে পারেন। নিজের উদ্যোগে এই পেজ ভেরিয়ফাই করি। লাফিয়ে বাড়তে থাকে ফলোয়ার সংখ্যা। কিন্তগু দুঃখজনক কথা হল যার জন্য এত কিছু সেই মানুষটি আমাদের আগাছার মতো ট্রিট করে গিয়েছে।” ওই পেজের অ্যাডমিন প্যানেলের পক্ষ থেকে এও জানাম হয়েছে অনির্বাণের সঙ্গে কোনও মর্মেই এই পেজ সংক্রান্ত চুক্তিতে ছিলেন না তাঁরা। ছিল না কোনও নথিও। তাই অনির্বাণকেও অ্যাডমিনদের কোনও পয়সা দিতে হয়নি। এখানেই থামেননি তাঁরা অ্যাডমিনের পক্ষ থেকে আরও লেখা হয়, “… এই সময়েই অন্যতম প্রধান প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে ও চুক্তিবদ্ধ হয়। ওই সংস্থা থেকে আমাদের রীতিমতো ধমক দেওয়া হত। ‘এক্ষুনি পোস্ট কর, না করলে লিগাল অ্যাকশন নেব…’।”
অনির্বাণের ওই পেজের অ্যাডমিন বলে দাবি করে যে পোস্ট করা হয়েছে সেই পোস্টে অভিযোগ হিসেবে লেখা রয়েছে, হুমকি দিয়ে কাজ করানো হয়েছে , পাল্টা দেওয়া হয়নি কিছুই। ২০১৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত অনির্বাণের জন্য অনেক ইভেন্ট, ফিতে কাটা এই পেজের মাধ্যমেই বলে সম্ভব হয়েছে বলে দাবি অ্যাডমিনদের। অ্যাডমিনরা লিখেছেন, “কমার্শিয়াল কোনও কাজ হলে তা থেকে খুব সামান্য অর্থ অনির্বাণ দিতেন এ অস্বীকার করব না, কিন্তু গোটা কাজের তা কত শতাংশ তা কখনওই উল্লেখ থাকত না”। এর পরেই বিস্ফোরক অভিযোগ আনা হয়েছে অ্যাডমিনদের তরফে। তাঁদের অভিযোগ প্যান্ডেমিকের পর যখন অনির্বাণ ‘পেইড প্রমোশন’ করবেন বলে ঠিক করেন তখন তিনি এও জানান প্রধান অ্যাডমিনকে উপযুক্ত পারিশ্রমিক তিনি দেবেন। কিন্তু অ্যাডমিনের কথায়, “কিন্তু ধীরে দীরে তিনি সব ভুলে গেলেন। আমাদের জোর করে পয়সা রোজগারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হল। পাল্টা আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হল।” এ ব্যাপারে যখন অনির্বাণকে তাঁর প্রশ্ন করেন, তখন অনির্বাণ নাকি তাঁদের ব্লক করে দেন, এমনটাই দাবি তাঁদের। নিজেদের নাম উল্লেখ করেননি অনির্বাণের ফেসবুক পেজের ওই পোস্টদাতা। তাঁর যুক্তি, এই মুহূর্তে তিনি জীবনের ঝুঁকি নিতে চান না। প্রয়োজনে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ্যে আনবেন। এ ব্যাপারে টিভিনাইন বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল অনির্বাণের সঙ্গেও। তিনি যদিও জানিয়েছেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কিছু রিপ্লাই দেওয়ার নেই’।