প্রত্যেক ছবির গল্প আলাদা, তাহলে প্রোমোশন এক হবে কেন?

দিনের শেষে এটা টিমওয়ার্ক। প্রোমোশন যাই হোক না কেন, দিনের শেষে আমরা চেষ্টা করি মানুষ যাতে সিনেমা হলে এসে সিনেমাটা দেখে।

প্রত্যেক ছবির গল্প আলাদা, তাহলে প্রোমোশন এক হবে কেন?
Follow Us:
| Updated on: Dec 16, 2020 | 5:35 PM

বাংলা ছবির প্রোমোশনকে ইন্ডাস্ট্রিতে যাঁরা অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম দেব। প্রযোজক দেব (Dev) তাঁর প্রোমোশন স্ট্র্যাটেজি নিয়ে এক্সক্লুসিভ কলম ধরলেন TV9 বাংলা ডিজিটালের জন্য।

আমি প্রোমোশন নিয়ে প্রোমোশনাল প্রযোজনা শুরু করার পর থেকেই আলাদা করে ভাবতে শুরু করেছি। অভিনয় শুরু করার পর থেকে আমার সারাক্ষণ মনে হত, প্রত্য়েকটা ছবির গল্প যখন আলাদা হয়, তাহলে প্রোমোশন এক রকম হয় কেন? দ্যাটস হোয়াই, প্রযোজক হওয়ার পর আমার মনে হয়েছিল, আলাদা আলাদা গল্পের আলাদা প্রোমোশন আইডিয়া হওয়া উচিত। আমার মনে হয়, সেটা অনেকটাই কাজে দিয়েছে।

চ্যাম্প‘-র প্রোমোশনে অনেক বেশি স্পোর্টস পার্সোনালিটিকে ইনভলভ করেছিলাম আমরা। কারণ গল্পটা তেমন ছিল। ককপিটফ্লাইট ওরিয়েন্টেড ছবি। পুরোটাই ৩৬ হাজার ফুট উপরে। যবে থেকে আমি শুটিং শুরু করেছিলাম, তবে থেকে আমার প্ল্যান ছিল, আমরা কি এতটা উপরে একটা প্রেস কনফারেন্স করতে পারি? আমরা সৌরভ গঙ্গেোপাধ্যায়কে পেয়েছিলাম সে সময়। সেই ভাবে প্রোমোশন করতে পেরেছিলাম। ৩৬ হাজার ফুট উপরে মিউজিক লঞ্চ করতে পেরেছিলাম। আবার কবীর‘-এ টেররিস্ট ওরিয়েন্টেড গল্প। স্লিপার সেল নিয়ে একটা ছবি। টেররিজম কীভাবে হয়, পুলিশ কীভাবে ওদের সিক্রেট প্ল্যানগুলো করে। তার প্রোমোশন আমার এখনও মনে আছে। কলকাতার কম্যান্ডো দিয়ে অ্যাক্রোপলিস মলে আমরা একটি ড্রিল করেছিলাম। দ্যাট ওয়াজ রিয়েলি অ্যাপ্রিশিয়েটেড।

আরও পড়ুন, অভিষেক বচ্চনের কোন কোন সিক্রেট শেয়ার করল ইনায়ৎ?

এরপর হইচই আনলিমিটেডকরেছিলাম। কমেডি ফিল্ম। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াকে ছবির প্রোমোশনে কীভাবে ইউজ করা যেতে পারে, সেটা ভেবেছিলাম। আমরা একটা প্রোমোশন স্ট্র্যাটেজি করেছিলাম। সারা ভারতে সেই প্রোমোশন নিয়ে কথা হয়েছিল। আমার এখনও মনে আছে, একটা প্রোমোশন ভিডিও শুট করেছিলাম, যেখানে একজন অ্যাঙ্করকে আমি থাপ্পড় মারছি। শুধু ১০ সেকেন্ডের ভিডিও আমরা ছেড়েছিলাম। আমরা এটা বোঝাতে চেয়েছিলাম, ১০ সেকেন্ডের একটা ফুটেজ দেখে আমরা জাজমেন্টাল হয়ে যাই। পুরো ভিডিওটা আমরা দেখিই না। নেগেটিভিটি কীভাবে ভাইরাল হয়! আর পজিটিভিটি সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনও ভাবেই লাইক, শেয়ার পায় না। হইচই আনলিমিটেড‘-এ ওইরকম একটা ছবি ছিল। যেখানে সোশ্যাল মিডিয়াতে কীভাবে চারটে ছেলে ভুল নামের জন্য ফেঁসে যায়। সেই জায়গা থেকে সেই স্ট্র্যাটেজিটা ছিল।

দেখুন, আজকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কত মানুষ সাহায্য পাচ্ছে। বিশেষ করে এই প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে। এটা আমরা অনেক আগে থেকে বলছিলাম যে, সোশ্যাল মিডিয়াকে আমরা ঠিকঠাক ভাবে ব্যবহার করতে পারি।

dev

নতুন কিছু করার জন্য সব সময় এগিয়ে এসেছেন দেব।

এটাই বারবার বলতে চাই, প্রত্যেকটা ছবির গল্প যখন আলাদা, তখন প্রোমোশন আইডিয়া এক হবে কেন? প্রত্য়েক ছবি আলাদা কিছু বলে। ফলে প্রোমোশনটাও আলাদা করতে চেষ্টা করি আমরা। আমাদের পরের রিলিজ হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী। এই ছবির প্রোমোশন নিয়েও আমাদের মাথায় অনেক কিছু চলছে। কিন্তু প্যানডেমিকের জন্য হয়তো সেভাবে হবে না। তবুও প্যানডেমিককে মাথায় রেখে এনগেজমেন্টটা যেন হয়, সেটা চেষ্টা করব। প্রত্যেক প্রোমোশনাল এফর্টেই আমরা মানুষকে এনগেজ রাখতে চেষ্টা করেছি। ইতিমধ্যেই হবুগবুকে নিয়ে আমরা অ্যানিমেটেড ভিডিও তৈরি করেছি। প্যানডেমিকে কী করা উচিত, কী করা উচিত নয়, সেটা ফর দ্য প্রোমোশন আমরা অ্যানিমনেশনে করেছি।

আরও পড়ুন, বউ বলেছে, এতদিন তো আমি জানতামই, এবার গোটা পৃথিবী জানে ‘মকবুল’ কত অনুগত: সাজি চৌধুরি

দিনের শেষে এটা টিমওয়ার্ক। প্রোমোশন যাই হোক না কেন, দিনের শেষে আমরা চেষ্টা করি মানুষ যাতে সিনেমা হলে এসে সিনেমাটা দেখে।