উদ্দাম যৌনতাই হল কাল, এক নম্বর নায়ক হয়েও বলিউড থেকে বিতাড়িত হতে হল, জানলে চমকে যাবেন
সিনেমার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনে নায়ক-নায়িকারা কী করে থাকেন, তা নিয়ে কৌতুহল বরাবরই রয়েছে অনুরাগীদের মধ্যে। আর এই কৌতুহলকে উসকেই নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।

সিনেমার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনে নায়ক-নায়িকারা কী করে থাকেন, তা নিয়ে কৌতুহল বরাবরই রয়েছে অনুরাগীদের মধ্যে। আর এই কৌতুহলকে উসকেই নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তবে কথায় আছে, যা রটে তার কিছুটা তো বটে। বলিউডের সুপারস্টার বিনোদ খান্নার জীবনটাও পর্দার মতো রঙিন। তাঁর জীবন হার মানাতে পারে যেকোনও ছবির চিত্রনাট্যকে। কীভাবে এক নম্বর হিরো থেকে একেবারে জিরো হয়ে গেলেন বিনোদ, তা নিয়ে কিন্তু চর্চা এখনও চলে বলিপাড়ায়।
সুঠাম চেহারার বিনোদ খান্না সেই সময় মন কেড়েছিলেন অনেক নায়িকারই। মহিলা মহলে তা তাঁকে নিয়ে নানা আলোচনা চলত। নিজের প্লেবয় ইমেজকে এনজয়ও করতেন বিনোদন। তাই তো মাধুরী থেকে মীনাক্ষি বিনোদের বিপরীতে অভিনয় করলেই বলিউডে রটে যেত নানা প্রেমগুঞ্জন। দয়াবান ছবিতে তো মাধুরী ঠোঁট কামড়ানোর ঘটনা বলিউডের হট টপিক।
এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট বিনোদ খান্না বলেছিলেন, যৌনতা তাঁর ভাল লাগে। একাধিক মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করাটা নাকি তাঁর হবি! ঘরে স্ত্রী, সন্তান থাকলেও, যৌনতা নিয়ে কোনওরকম ট্যাবু ছিল না বিনোদের মনে। কিন্তু বিনোদের এই বিন্দাসপনা, সেই সময় বলিউডে অনেকেই ভাল চোখে দেখেননি। আর সেই কারণেই একের পর এক ছবি থেকে বাদ পড়তে লাগলেন বিনোদ। এমনকী, শোনা যায় বহু নায়িকারাই নাকি বিনোদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন নানা কারণে।
১৯৭৫ থেকে ১৯৮২ সালে বলিউড ছেড়ে আধ্যাত্মিক গুরু ওশো রজনীশের আশ্রমে। সেই সময়ই বিনোদ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি সংসার ধর্ম ছেড়ে সন্ন্যাস নিয়েছেন। তবে যৌনতা ছাড়েননি। বিনোদ খুল্লমখুল্লা জানিয়ে ছিলেন, শরীরের চাহিদার জন্য যৌনতা অত্যন্ত প্রয়োজন। আত্মার শান্তিই সব। সেই সময় বিনোদের এমন কথা বিতর্কের ঝড় তুলেছিল। অনেকেই বিনোদের বিরুদ্ধে ভারতীয় সংস্কৃতিকে নষ্ট করার অভিযোগ তুলেছিলেন। এমনকী, পরে বিনোদ খান্নার দুই ছেলে অক্ষয় খান্না ও রাহুল খান্নাকেও তাঁর বাবার এমন মন্তব্যের জন্য কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়।
শোনা যায়, বিনোদ খান্না ওশোর আশ্রম থেকে বেরিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। আর অন্যদিকে প্রথম পক্ষের দুই সন্তান রাহুল ও অক্ষয় সম্পর্ক ছেদ করেছিলেন বিনোদের সঙ্গে। ২০১৭ সালে মৃত্যু হয় বলিউডের এক সময়ের এক নম্বর নায়কের। শোনা যায়, বাবার মৃত্যুর সময় উপস্থিত ছিলেন না তাঁর দুই ছেলে রাহুল ও অক্ষয়।





