
সৌমিত্র চট্টোপাধ্য়ায়। বাংলা চলচ্চিত্রের এমন এক অভিনেতা, যিনি পর্দায় এসে দাঁড়ালে তাঁর অভিনয় মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করতেন দর্শক। যতই উত্তম কুমারের সঙ্গে সেই সময় তুলনা করা হোক সৌমিত্রর, তিনি কিন্তু মহানায়কের পাশাপাশিই নিজের এক ঘরানা তৈরি করেছিলেন, যে ঘরানার মধ্যেই রূপ পায় সত্যজিতের ‘অপু’ কিংবা ‘ফেলুদা’। তবে শুধুই সিনেমার পর্দায় নয়, মঞ্চেও ছিল তাঁর দাপট। সাহিত্য জগতেরও তারকা ছিলেন সৌমিত্র। এমন এক মানুষের জীবন যে রহস্য ঘেরা, রঙিন হবে, তা নিয়ে কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
এমনকী, সৌমিত্র চট্টোপাধ্য়ায় নানা সাক্ষাৎকারে তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। কিন্তু এমন একটি তারকার জীবন কাহিনি নিয়ে নানা পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি হলেও, সৌমিত্র কিন্তু কখনই আত্মজীবনী লেখার ব্য়াপারে খুব একটা আগ্রহ দেখাননি। তাঁর প্রিয় মানুষরা বার বার অনুরোধ করলেও, আত্মজীবনী লেখার ক্ষেত্রে সৌমিত্র বেঁকেই বসেছিলেন। এর নেপথ্যে অবশ্য এক বিশেষ কারণও ছিল। আর তা নিজেই অকপট জানিয়ে ছিলেন সত্যজিতের ‘অপু’।
তা কী কারণে আত্মজীবনী লিখতে অনিহা ছিল সৌমিত্রর?
এক সাক্ষাৎকারে সৌমিত্র জানিয়ে ছিলেন, আত্মজীবনী লিখতে গেলে যে সত্যিগুলো লিখতে হত, তাতে অনেক মানুষ কষ্ট পেতেন। কারণ, আত্মজীবনীতে মিথ্যা কিছু লিখতে পারব না। রাখঢাকও রাখতে পারব না। তার থেকে ভাল আত্মজীবনী লিখবই না। যেভাবে মানুষ আমাকে দেখছে, সেইভাবেই জানুক।