Lower Back Pain: সার্জারি করার আগে ২বার ভাবুন! এই ৪ টোটকা মেনে চললেই নিমেষে দূর হবে কোমরের ব্যথা
Health Tips: মেরুদণ্ডের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ও পিঠের ব্যথা প্রতিরোধ করার জন্য রইল সহজ ও স্বাভাবিক ৪টে টোটকা। সেগুলিই জেনে নিন এখানে...

কোমর ও কোমরের নিচের অংশে ব্যথার উপসর্গ আজকাল দেশে নতুন করে এক দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় পরিণত হয়েছে। এই ব্যাধি তরুণ-তরুণীদের মধ্যেই নয়, বয়স্কদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে। স্পাইনাল ডিস্ক ও পিঠের পেশীগুলির উপর লাগাতার চাপ পড়ায় এই সমস্যা বর্তমানে দীর্ঘস্থায়ীর রূপ নিয়েছে। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও একটানা ল্য়াপটপ বা মোবাইল নিয়ে বসে থাকায় এই সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। শুধু বড়রাই নয়, পিঠের ব্যথায় কাবু শিশু থেকে কিশোর-কিশোরীরাও। ক্রমাগত পিঠের ব্যথায় সমস্যায় অন্যান্য অঙ্গগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। যার ফলে অল্প খেলাধূলা করতে গিয়ে দুর্ঘটনা, জয়েন্টগুলিতে আঘাত পাওয়া ও জন্মগত মেরুদণ্ডের সমস্যাগুলি বিভিন্ন কারণে হতে থাকে।
পিঠে ব্যথা শুধু লাগাতার বসে থাকার কারণে নাও হতে পারে। কিডনির সমস্যার কারণেও কোমরের নিচের অংশে ব্যথা অনুভব হতে পারে। তবে মেরুদণ্ডের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ও পিঠের ব্যথা প্রতিরোধ করার জন্য রইল সহজ ও স্বাভাবিক ৪টে টোটকা। সেগুলিই জেনে নিন এখানে…
সঠিক ভঙ্গিতে বসুন
যারা কম্পিউটারের সামনে দীর্ঘসময় ধরে কাজ করে করেন, সাধারণত তাদের কোমরের উপর বেশি প্রভাব পড়ে। পিঠের পেশি , মেরুদণ্ড ও ঘাড়ের উপর চাপ পড়ে। তাতে ব্যথা অনুভব হয়।এই ভাবে যারা দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোনে মুখ গুঁজে থাকেন, তাতে ঘাড়ের উপর চাপ পড়ে। এছাড়া পেটের উপর চাপ দিয়ে মুখের সামনে মোবাইল দেখেন, তাদের মেরুদণ্ডের ক্ষতি হয় বেশি। তাই , ঘাড়, পিঠের নীচের অংশ সুস্থ রাখতে সোজা হয়ে বসার চেষ্টা করুন। এমনভাবে মনিটর, ডেস্কটপ, বা ল্যাপটপে কাজ করুন, তাতে হাত, মেরুদণ্ডের ক্ষতি না হয়।
ছোট ছোট বিরতি নিন
একটানা বসে না থেকে মাঝে মাঝে বিরতি নিয়ে হাঁটাচলা করুন। তাতে মানসিক চাপ কমবে, মেরুদণ্ডে শারীরিক চাপ উভয়েরই সুস্থতা ঠিক থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে এক অবস্থানে বসে থাকা অস্বাস্থ্যকর। পিঠের ব্যথা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে। দীর্ঘ সময়ের জন্য কাজ করলে মাঝে কয়েক মিনিটের জন্য বিরতি নেওয়া ভাল। তাতে পেশি ও স্নায়ু,দুটোই শক্তিশালী থাকে।
ব্যায়াম
দীর্ঘক্ষণ ধরে বসে থাকলে কোর, কটিদেশের পেশি ও মেরুদণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে। তাতে পিঠের ব্যথা বাড়ে। আংশিক ক্রাঞ্চ, ব্রিজ, হ্যামস্ট্রিং স্ট্রেচ, নি-টু-চেস্ট, ক্যাট স্ট্রেচ ইত্যাদি ব্যায়ামগুলি পেশি, জয়েন্ট ও মেরুদণ্ডের ডিস্কের তরলভাব পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে। ব্যথা উপশম করতেও কার্যকরী।
নিয়মিত দ্রুত হাঁটলে পিঠ ও মেরুদণ্ডের ব্যথা উপশম হয়। এটি একটি সহজ ও কার্যকর উপায়। হাঁটা, ব্যায়াম ওজন কমাতে , মেরুদণ্ডের পেশিতে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধিতে ও রক্তে অক্সিজেন ও পুষ্টির মাত্রা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
সুষম খাদ্য- ফ্যাট-যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জল পান করলে পিঠ ও মেরুদণ্ডেক সমস্যা দূর হবে দ্রুত। কম ফ্যাট, ক্য়ালসিয়াম ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করলে প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থের ঘাটতি মেটে। তাতে ওজন যেমন নিয়ন্ত্রণ থাকে, তেমনি মেরুদণ্ডের উপর সামগ্রিক চাপও কমে যায়।
