ওজন বাড়ছে, তার প্রথম লক্ষণ হল পছন্দের পোশাক ভুঁড়িতে আটকে যাওয়া। ওয়েট মেশিনে না উঠেও কিন্তু ঠিক এই লক্ষণ দেখলেই নিশ্চিত হওয়া যায় যে ওজন বেড়েছে। শরীরে যখন চর্বি জমতে শুরু করে তখন কিন্তু সবচেয়ে বেশি ফ্যাট জমে পেটে। এছাড়াও কোমর, হাত, পা সর্বত্রই জমে ফ্যাট। ওজন বাড়লে যখন এক্সসারসাইজ শুরু করেন তখন অন্যান্য সব জায়গার চর্বি তাড়াতাড়ি কমলেও ভুঁড়ি কিন্তু কোনও মতেই কমতে চায় না। অনেক পরিশ্রম, অনেক ডায়েট এবং কৃচ্ছসাধন করলে তবেই কিন্তু ভুঁড়ি কমে।
এছাড়াও পেটে ফ্যাট জমা মোটেই ভাল লক্ষণ নয়। ভুঁড়ি মানেই ওবেসিটির লক্ষণ। এছাড়াও মেয়েদের পেটে ফ্যাট জমলে অনেক রকম সমস্যা হয়। বিশেষত পিরিয়ডস সময়ে হয় না। মেনোপজ তাড়াতাড়ি হয়। সেই সঙ্গে নানা হরমোনের সমস্যা জটিল হয়। অনেক ক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা, ট্রাইগ্লিসারাইড, কোলেস্টেরলের সমস্যার প্রধান লক্ষণ কিন্তু ভুঁড়ি। পেটের মেদ বাড়ার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে হার্টের সমস্যা, ব্লাড প্রেসার বাড়া এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা। যে কারণে ব্যালান্সড ডায়েট, শরীরচর্চা সবটাই জরুরি। আর এই ডায়েট কিন্তু নিয়ম করে মেনে চলতেই হবে। সেই সঙ্গে ধৈর্য রাখুন। সময় দিন। তবেই কিন্তু আপনি লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন।
সম্প্রতি আর্য়ুবেদ বিশেষজ্ঞ ডা. দীক্ষা ভাস্বর দারুণ কিছু টিপস শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেই টিপসের সঙ্গে তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন,’আপনি কি জানেন পেটে মেদ জমা হরমোনাল ইমব্যালান্স, মেটাবলিজমে সমস্যা এবং জেনেটিক সমস্যার লক্ষণ’? এই সব সমস্যা কিন্তু রয়েছে ভুঁড়ির নেপথ্যে। দেখে নিন টিপস
সূর্যনমস্কার- যাঁদের হরমোনের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য কিন্তু খুব ভাল সূর্যনমস্কার। এছাড়াও ওজন বাড়লে, হরমোনের সমস্যা হলে মেটাবলিজম কমে যায়। মেটাবলিজম কমে গেলে হজমের সমস্যা বাড়ে, ওজন কমানো খুব কঠিন হয়ে পড়ে। মন ঠিক রাখতে কিন্তু সূর্যনমস্কার খুব ভাল। আর মেটাবলিজম ঠিক হলে কিন্তু ভুঁড়িও কমে।
কপালভাতি- দীক্ষার কথায়, শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে এবং হজমের সমস্যার জন্য কিন্তু ভাল কাজ করে কপালভাতি। প্রতিদিন টানা ১৫ মিনিট কপালভাতি করতে পারলে পেটের মেদ ঝরবে তাড়াতাড়ি। পিরিয়ডসের সমস্যার সমাধান হয়। এছাড়াও যাঁরা PMS, PCOD-এর সমস্যায় ভোগেন তাঁদের জন্য ভাল কপালভাতি।
সূর্যাস্তের পর খাওয়া নয়- নিয়ম মেনে খেলে যেমন শরীর ভাল থাকে তেমনই ওজনও কমে। সূর্যাস্তের আগে খাওয়া শেষ করুন। বড়জোর সূর্যাস্তের ১ ঘন্টার মধ্যে দিনের শেষ খাবার খান। এরপর ৮ ঘন্টার দীর্ঘ গ্যাপ রাখুন। আর তাই হজম ভাল হয়, শরীরও থাকে ঠিক।
ইষদুষ্ণ জল খান- ঠান্ডা জল যেমন একেবারেই খাবেন না, তেমনই কিন্তু গরম জলও নয়। বরং ইষদুষ্ণ জল খান। যখনই খাবেন, তখনই এই জল খান। বিশেষত খাবার খাওয়ার পর। হজমের সমস্যা কিংবা খাওয়ার পর গ্যাস-অম্বলের সমস্যা আসবে না।
ঘুম জরুরি- দিনের মধ্যে ৭-৮ ঘন্টা ঘুম খুব জরুরি। আর সেই ঘুম যেন সাউন্ড স্লিপ হয়। অনেকেই আছেন যাঁরা প্রায়দিনই ৪ ঘন্টার বেশি ঘুমোন না। নিয়মিত এই রুটিনে চললে পড়তে পারেন গুরুতর সমস্যায়।