চ্যাবনপ্রাশকে (Chyawanprash) অনেকেই বলেন ‘শরীরের এক রক্ষাকবচ’। আয়ুর্বেদিক গুনে ঠাঁসা চ্যাবনপ্রাশ। যা বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শীতকাল পড়লেই চ্যাবনপ্রাশ কেনার ধুম পড়ে। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির চ্যাবনপ্রাশ পাওয়া যায়। চ্যাবনপ্রাশের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভেষজ উপকরণ। যেমন -আমলকি, গুড়, মধু, ঘি, দারচিনি, এলাচ ইত্যাদি। এই উপকরণগুলি একসঙ্গে মিলিত হওয়ার ফলে চ্যাবনপ্রাশ শরীরের অনেক উপকার করে। শীতকালে অনেকের ঘরে আট থেকে আশি চ্যাবনপ্রাশ দিয়ে দিন শুরু করে। এটি খাওয়ার উপকারিতা তো প্রচুর। জানেন অতিরিক্ত চ্যাবনপ্রাশ খেলে একাধিক রোগের কবলে পড়তে হতে পারে। বেশি চ্যাবনপ্রাশ খেলে হতে পারে নানান সাইড এফেক্টও। জানেন সেগুলি কী?
শীতে নিয়মিত যাঁদের চ্যাবনপ্রাশ খাওয়া অভ্যেস রয়েছে, তাঁরা যে উপকারিতা পান সেগুলি হল —
চ্যাবনপ্রাশ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। চ্যাবনপ্রাশের মধ্যে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে সর্দি, কাশি, জ্বর ইত্যাদি নিয়মিত লেগে থাকা অসুখ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। চ্যাবনপ্রাশে থাকা ফাইবার হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। চ্যাবনপ্রাশ ত্বকের জন্যও উপকারী। এটি ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। ব্রণ দূরে রাখে।
এ বার আসা যাক চ্যাবনপ্রাশ খাওয়ার ফলে কী কী সাইড এফেক্ট বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে —
অতিরিক্ত কোনওকিছুই খাওয়া ভালো নয়। শীতে প্রতিদিন অল্প পরিমানে চ্যাবনপ্রাশ খাওয়া উচিত। বেশি চ্যাবনপ্রাশ খেলে বদহজম, পেট ফোলা, পেটে ফাঁপা ভাব সহ নানান পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যাঁরা ভোগেন তাঁদের চ্যাবনপ্রাশ বেশি না খাওয়া ভালো। অতিরিক্ত চ্যাবনপ্রাশ খেলে ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হতে পারে।