Monsoon Diseases: একটু অসচেতন হলেই বর্ষার এই ৬ রোগ আপনাকে বিছানায় ফেলতে পারে
Health Tips: অবিরাম বৃষ্টি বড্ড একঘেঁয়ে। তার উপর যদি এই জল, কাদার মধ্যে কাজে বেরোতে হয়। এমন বৃষ্টির দিনে সবচেয়ে বেশি হয় থাকে রোগ ভোগের। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকার পাশাপাশি জীবাণুও সংখ্যাও বাড়ে। বৃষ্টি যতই ভালবাসুন, বর্ষার রোগের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকা ভীষণ জরুরি।

বাড়িতে বসে বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি, ইলিশ মাছ খেতে ভালই লাগে। কিন্তু এক নাগাড়ে বৃষ্টি হলে কারওই ভাল লাগে না। অবিরাম বৃষ্টি বড্ড একঘেঁয়ে। তার উপর যদি এই জল, কাদার মধ্যে কাজে বেরোতে হয়। এমন বৃষ্টির দিনে সবচেয়ে বেশি হয় থাকে রোগ ভোগের। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকার পাশাপাশি জীবাণুও সংখ্যাও বাড়ে। বৃষ্টি যতই ভালবাসুন, বর্ষার রোগের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকা ভীষণ জরুরি। এই মরশুমে কোন কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, জেনে নিন।
ভাইরাল ফিভার: ভাইরাস গঠিত জ্বর যে কোনও মরশুমেই দেখা দিতে পারে। কিন্তু বর্ষাকালে ভাইরাল ফিভারের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। জ্বর, মাথা ব্যথা, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, শারীরিক দুর্বলতার মতো নানা উপসর্গ দেখা দেয়। যদিও এই ধরনের সমস্যায় প্যারাসিটামলের মতো ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা যায়।
ডায়ারিয়া: বর্ষাকালে বাইরের খাবার সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া উচিত। যঅপরিশোধিত জল, রাস্তার খোলা খাবার থেকে ডায়ারিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ডায়ারিয়া হলে শরীর যাতে ডিহাইড্রেট না হয়ে যায়, সে দিকে খেয়াল রাখুন।
ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া: দুটোই মশাবাহিত রোগ। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যাবে, প্রতি বছর বর্ষার মরশুমে মানুষ ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। মূলত সচেতনতার অভাবেই ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে। অবস্থার বাড়াবাড়ি হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। জ্বর, গায়ে ব্যথা, র্যাশ, শারীরিক দুর্বলতার মতো সমস্যা দেখা দেয়। ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার ঝুঁকি এড়াতে কোনও খোলা পাত্রে জল জমতে দেবেন না।
টাইফয়েড: বর্ষাকালে সালমোনেলা টাইফোসা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যায়। মূলত অপরিষ্কার জল থেকে টাইফয়েডের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। টাইফয়েড ধরা পড়লে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
জন্ডিস: মূলত অপরিশোধিত জল থেকেই বর্ষাকালের রোগ ছড়ায়। দেহে হেপাটাইটিস ভাইরাস প্রবেশের পিছনেও অপরিষ্কার জলই দায়ী। জন্ডিস হলে লিভারে প্রদাহ তৈরি হয়, রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়। জন্ডিস ধরা পড়লে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন থাকুন এবং বিশ্রামে থাকুন।





